ইন্দাসের প্রত্যন্ত ছোট গোবিন্দপুর এসএন পাঁজা হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী পায়েল নন্দী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন গোটা রাজ্য কাবু, সেইসময় মে মাসে পায়েল তার কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে পাওয়া দু’হাজার টাকার মধ্যে ৫০০টাকা দিয়ে মাস্ক কিনেছিল। সেই মাস্ক এলাকার দিনমজুর, দরিদ্রদের বিলি করে। তাছাড়া সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরার জন্যও অনুরোধ করে। দশম শ্রেণির ছাত্রীর নজরকাড়া সেই কৃতিত্বকেই স্বীকৃতি জানাতে চলেছে রাজ্য সরকার।
গত কয়েক মাস ধরে নিজের এলাকায় পায়েলের একক ভাবে লাগাতার এই সচেতনতামূলক প্রচার নজর কেড়েছে সকলের। আর সেই কাজের স্বীকৃতি হিসাবে আগামী ১৪ অগস্ট কন্যাশ্রী দিবসে বাঁকুড়ার দশম শ্রেণির পায়েলকে পুরস্কৃত করবে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া থেকে পায়েল ছাড়াও আরও দুই ছাত্রীকে সম্মান জানাবে রাজ্য। বাঁকুড়া-১ ব্লকের বাসিন্দা সারা মুখোপাধ্যায় জাতীয় মেধা অন্বেষণ পরীক্ষায় ১৯তম র্যাঙ্ক করেছিল। এছাড়া রয়েছে ইন্দপুরের অনন্যা মিশ্র। অন্যন্যা করোনা পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে গৃহবন্দি শিশুদের জন্য আঁকার স্কুল খুলেছিল। তাদের অঙ্কনসামগ্রী বিলি করেছিল। অন্যন্যা করোনা পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে গৃহবন্দি শিশুদের জন্য আঁকার স্কুল খুলেছিল। তাদের অঙ্কনসামগ্রী বিলি করেছিল। তাদেরও কন্যাশ্রী দিবসে সম্মান জানাবে রাজ্য। ১৪আগস্ট তাদের সংবর্ধনা দেবে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বাবা, মা এবং ছোট ভাই মিলিয়ে চার জনের সংসার পায়েলের। বাবা সুজিত পেশায় মাছচাষি। মা মধুমিতা গৃহবধূ। ছোট থেকেই মেধাবী পায়েল। স্কুলের পরীক্ষায় প্রতি বছর প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানে থাকে সে।
Find out more: