এক ব্যক্তি, এক পদ। পিকে-র দলকে চাঙ্গা করার এই টোটকায় হেঁটে দলের সংগঠনে বড় বদল আনল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলে যারা পায় সব পায়, যারা পায় না, কিছুই পায় না। এই বদনাম ঘোচাতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্যের শাসক দল। রাজ্য ও জেলা সংগঠনের বিভিন্ন পদ থেকে সরানো হল রাজ্যের একাধিক শীর্ষ তৃণমূল নেতাকে। তালিকায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মহুয়া মৈত্র, আবু তাহের, সৌমেন মহাপাত্রের মতো নেতা। সাংগাঠনিকভাবে একাধিক জেলাকে ভাঙা হল। বদল করা হল একাধিক জেলা সভাপতিও। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনার মতো প্রায় একাধিক জেলাগুলিতেই সভাপতি পদে বদল করা হয়েছে।
যাঁরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদে রয়েছেন, এমন জেলা সভাপতিদের সরানো হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন, এমনও অনেককে সরানো হয়েছে। মন্ত্রী, সাংসদরা বাদ গিয়েছেন জেলা সভাপতির পদ থেকে। একাধিক জেলায় তরুণ মুখকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।


সৌমেন মহাপাত্রকে সরানো হল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদ থেকে। দায়িত্ব থেকে সরানো হল মহুয়া মৈত্রকেও। উত্তর কলকাতা তৃণমূল প্রসিডেন্টের পদ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে করা হল চেয়ারম্য়ান। প্রেসিডেন্ট পদে এলেন তাপস রায়। সাংগঠনিকভাবে নদিয়া জেলাকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উত্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জয়ন্ত সাহাকে। দক্ষিণের দায়িত্ব পেয়েছেন রক্তা ঘোষ কর। আগে নদিয়ার জেলা সভাপতি ছিলেন মহুয়া মৈত্র।

একাধিক জেলাকে ভাঙা হয়েছে। যেমন, উত্তর ২৪ পরগনাকে চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও বাঁকুড়াকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। কোন বিধানসভা কোন সাংগঠনিক জেলার মধ্যে থাকবে তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

Find out more: