তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার প্রথম প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক। আর প্রথম বৈঠকেই মমতা (Mamata Banerjee) বুঝিয়ে দিলেন, কাজে গড়িমসি বরদাস্ত করবেন না।খরচ কমানোই যে নতুন খরচ জোগানোর একমাত্র পথ, বুধবার রাজ্যভিত্তিক প্রশাসনিক মূল্যায়ন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা দেখিয়ে দিলেন। জি২৪ ঘণ্টায় খবরে প্রকাশ, শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাঠগড়ায় সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র (Soumen Mahapatra)। ডিভিসি জল ছাড়ায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের টালবাহানায় ঝুলে রয়েছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। এর পাশাপাশি দিঘা ও সুন্দরবন মাস্টারপ্ল্যানের প্রস্তাবও রয়েছে রাজ্যে। দাবিদাওয়াগুলি নিয়ে কেন দিল্লি যাননি, তা সেচমন্ত্রীর কাছে জানতে চান মমতা (Mamata Banerjee)। বলেন,  '১০ দিন আগে দিল্লি যেতে বলেছিলাম। এখনও যেতে পারলে না?’ সমবায় ব্যাঙ্কের অডিট নিয়ে মমতার ভর্ৎসনা শুনতে হয় সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন,'কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অডিট হচ্ছে না কেন? তদন্ত করতে গেলেও কি হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন?' মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে জুডিশিয়াল মিউজিয়াম করায় তোপের মুখে পড়েন পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। বৈঠকে না থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়েন প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh)। তাঁর দফতরের বেলাগাম খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন,'যেভাবে খরচ হয়েছে তা 'ক্রিমিনাল অফেন্স'।

আনন্দবাজারে প্রকাশ, বিধাননগরে নিজের নির্বাচনী এলাকার কিছু ক্লাবকে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র দেওয়ার জন্য অর্থ দফতরে ফাইল পাঠিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এই নিয়ে তাঁকেও মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মার মুখে পড়তে হয় এ দিন।

Find out more: