জায়গাটায় খুব ঝড় হচ্ছিল। বজ্রবিদুত সহ বৃষ্টিপাতের সাবধানবাণী ছিল। তবে প্রকৃতি যে এতটা রুষ্ট থাকবে তা বোঝা যায়নি। প্রবল ঝড়ের সঙ্গে মাঝেমাঝেই বুক কাঁপিয়ে দেওয়া বাজ পড়ছিল। সদ্য ১৮-এ পা দেওয়া রাদজা ফেরেরি দি ওলিভেয়েরা (Radja Ferreira de Oliveira) নামের মেয়েটি ঘরেই বসেছিল বাড়ির লোকের সঙ্গে। বাইরে বাজ-ঝড়-বৃষ্টির মাঝে মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিল রাদজা। ফোনটার চার্জ কম ছিল বলে, চার্জিংয়ে দিয়েই মোবাইলটা ঘাঁটছিল। আচমকা সেই সময়ই মেয়েটার বাড়িতে বাজ পড়ে। আর ঠিক তার আগে ওর চার্জে দেওয়া মোবাইলে আসে একটা ফোন। ব্যস। সেখানেই নেমে এল মর্মান্তিক মৃত্যু। বাড়িতে বজ্রপাতের সময় মেয়েটা চার্জে থাকা অবস্থাতেই ফোনে কথা বলছিল। তাতে ডিভাইসের মাধ্যমে সে তড়িতাহত হয়। মারাত্মক ইলেকট্রিক শক খেয়ে সে প্রথমে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারপর একটা চিৎকার করে জ্ঞান হারায়। তার বাড়ির লোক প্রবল ঝড়ের মাঝেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ডাক্তাররা জানায় হাসপাতালে আনার আগেই মেয়েটি মারা গিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের পারা স্টেটের সানটারেমে। অ্যামজন ও তাপাজোস নদীর সংযোগস্থলের এই শহরে মাঝেমাঝেই বড় ঝড় আসে। কিন্তু গত রবিবার ঝড়ের সঙ্গে বড় বজ্রপাতে শহরের বেশ কিছু বাড়ির ক্ষতি হয়। সেই ঝড়-বজ্রপাতের দিনে ওই মেয়েটির মত আরও তিনজন বাজ পড়ার সময় চার্জে দেওয়া ফোনে কথা বলায় তড়িতাহত হন। কিন্তু একমাত্র এই মেয়েটিই মারা যান। ব্রাজিলের এই অঞ্চলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়, ঝড় এলে কিছুতেই চার্জে দেওয়া অবস্থায় ফোনের ব্যবহার করবেন না। কিন্তু এরপরেও গত ৬ মাসে এই কারণে দুজনের মৃত্যু সহ মোট ৯জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

Find out more: