ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ৩০ সেপ্টেম্বরই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোট গণনা হবে ৩ অক্টোবর। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৩ সেপ্টেম্বর। ১৬ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শুধু ভবানীপুর নয়, এই দিনই ভোট জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জেও। রাজ্যে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে প্রার্থী মারা গিয়েছিলেন। এই দুই আসনেও একই দিনে নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণাও হবে একই দিনে। ভবানীপুরের পাশাপাশি উপনির্বাচন হওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোসাবায়। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে মারা যান খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। সেখানে জিতেছিল তৃণমূল। বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পরে মারা গিয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। এ ছাড়া বিধানসভায় জিতেও সাংসদ পদে থেকে যাবেন বলে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক-পদ ছেড়েছেন বিজেপি-র দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। কিন্তু সেই চার কেন্দ্রে এখনও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেনি কমিশন।
তবে করোনা আবহে ভোট হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন বেশ কয়েকটি নিয়মাবলি মেনে চলার কথাও জানিয়েছে। সেগুলি কী কী একবার দেখে নেওয়া যাক - নিয়মাবলি: ১) কোনও মিছিল করা যাবে না মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়। রিটার্নিং অফিসারের অফিসের ১০০ মিটারের মধ্যে ৩টির বেশি গাড়ি রাখা যাবে না। ২) ৩০ শতাংশ লোক ইন্ডোর প্রচারের ক্ষেত্রে এবং ৫০ শতাংশ লোক আউটডোর প্রচারের ক্ষেত্রে। ৩) জাতীয় ও রাজ্যের দলগুলো ২০ জনের বেশি স্টার প্রচারক ব্যবহার করতে পারবে না। ৪) কোনও রোড-শো করা যাবে না। ৫০ জনের বেশি লোক নিয়ে স্ট্রিট কর্নার করা যাবে না। প্রার্থী-সহ ৫ জন ডোর-টু-ডোর প্রচার করতে পারবেন। ৫) গোটা প্রক্রিয়ায় যাতে করোনাবিধি লঙ্ঘন না হয়, সেজন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিস প্রধান এবং স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬) নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জন্য করোনা টিকার ডবল ডোজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
Find out more: