গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৫ জন। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত প্রায় তিনশো। এর পরও কেন কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হচ্ছে না? কলকাতা পুরসভা মনে করছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একটি আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে একজন করোনা আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে গোটা এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন করলে আতঙ্ক বাড়বে, তৈরি হবে সমস্যাও। কিন্তু আতঙ্ক নয়, এই মুহূর্তে সতর্ক থাকারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সক ও পুরসভা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জেলায় জেলায় ১৫০টির বেশি এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে।
করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ এসে না গেলেও রাজ্যে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালগুলিতেও বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগী ভর্তি। অথচ পুজোর আগে চিত্রটা ছিল অন্য রকম। সেই সময়ে যেখানে রাজ্য জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র আশপাশে ছিল, এখন সেটাই হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ সব দেখে চিকিৎসক ও সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, উৎসবমুখর বাঙালিকে এ বার ভিড়ের মূল্য চোকাতে হবে! সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পরেই ওয়ার্ড ভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। তিন জেলার তালিকা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবসাইটে (wb.gov.in)। তবে এর বাইরেও হগলি, মুর্শিদাবাদ-সহ আরও কয়েকটি জেলার কিছু কিছু এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
* উত্তর ২৪ পরগনায় ৫১টি কনটেনমেন্ট জোন
* হাওড়ায় কনটেনমেন্ট জোন ১৪টি এলাকায়
* জলপাইগুড়ি জেলায় ৯টি জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন
Find out more: