সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বেশ চাপে সরকার। গত সপ্তাহেই ১২ বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে রাজ্যসভার অধিবেশন থেকে। সপ্তাহখানেক আগেই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। তার উপরে গতকালই সংসদে দাঁডিয়ে অমিত শাহকে বলতে হয়েছে, নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়ে ১৪ জন নিরাপরাধ মানুষকে মেরে ফেলার পেছনে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এইসব ইস্যুতে রোজই বিরোধীরা তোলপাড় করছে সাংসদ। এমনি এক পরিস্থিতিতে সংসদের শীত অধিবেশনে বহু সাংসদ অনুপস্থিত থাকছিলেন। এনিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোদী। এদিন দলের সাংসদের নরেন্দ্র মোদীর সাফ হুঁশিয়ারি, 'নিজেদের বদলে ফেলুন, নয়তো অনেক কিছুই বদলে যাবে। দয়া করে সংসদে ও দলের বৈঠকগুলিতে হাজির থাকুন। বারবার আপনাদের এভাবে বোঝানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বাচ্চাদেরও এভাবে বোঝাতে হয় না। নিজেদের যদি বদল না করেন তাহলে অনেক কিছুই বদলে যাবে।'

অন্যদিকে, কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘আপাতত দরকার নেই’ বলে মনে করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা রাজভবনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রশ্নে গত সপ্তাহেই কমিশনের ‘নেতিবাচক অবস্থানের’ ইঙ্গিত মিলেছিল। রাজ্য পুলিশ দিয়েই কলকাতা পুরভোট করানোর প্রস্তুতিতেই ছিল সেই বার্তা। গত শুক্রবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিন্‌হা রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এসে দেখা করেন। জানা গিয়েছে, সেখানে তাঁর সঙ্গে পুরভোটে নিরাপত্তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়। শনিবার নিরাপত্তার যাবতীয় তথ্য-সহ নীল নকশা কমিশনের হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ।

Find out more: