আজ ছিলো কলকাতা পুরো নির্বাচন (KMC Election)। অভিযোগ উঠেছে, বোমাবাজির মতো ঘটনাও ঘটেছে। সকাল থেকে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিয়ালদহের টাকি বয়েজ স্কুল। অভিযোগ, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যেই তিন থেকে চারটি বোমা পড়ে। বোমাবাজিতে জখম হন দু'জন। আহতদের মধ্যে একজন আবার সাধারণ ভোটার। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা পুলিসের জয়েন্ট সিপি হেড কোয়াটার্স (Joint CP Headquaters) শুভঙ্কর সিনহা সরকার জানালেন, 'সকাল থেকে কিছু ঘটনা ঘটেছে। মোটের উপর ভোট শান্তিপূর্ণ'।

আর বোমাবাজি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, 'দুটি বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। আমহার্স্ট থানার টাকি বয়েস স্কুলের সামনে বোমা ফাটে। রাস্তার উল্টো দিকে নারকেলডাঙা থানা এলাকা থেকে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকাল ৯.৪৫ নাগাদ এন্টালি থানার খন্না হাইস্কুলের সামনে বেলেঘাটা রোডের উপর বোমাবাজি হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস পৌঁছয়। ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে'।

অন্যদিকে, রবিবার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি এবং বিরোধীদের তোলা অনিয়ম প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘অশান্তিতে তৃণমূল জড়িত আছে প্রমাণ দিতে পারলে দল ব্যবস্থা নেবে।’’ রবিবার ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিউশনের বুথে ভোট দিয়ে পুর নির্বাচনে অশান্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘অশান্তির ভিডিয়ো ফুটেজ থাকলে আনুন। তৃণমূলের কেউ, কোথাও, কোনও জড়িত আছে প্রমাণ দিতে পারলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দল ব্যবস্থা নেবে।’’ পাশাপাশি, প্রশাসনিক স্তরেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তবে কলকাতা পুরভোটের সঙ্গে ত্রিপুরার ভোটেরও তুলনা করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় কী ভাবে পুরভোট হয়েছিল আমরা দেখেছি। বিজেপি-র সন্ত্রাসে আগরতলা পুরসভার তৃণমূল প্রার্থী নিজের ভোটও দিতে পারেননি। আমরা তো আগরতলার পুরভোটের অশান্তির ফুটেজও জমা দিয়েছি।

Find out more: