স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন বলছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজারের বেশি। কলকাতাতেই আক্রান্ত এর প্রায় ৫০ শতাংশ। মহানগরীতে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতে আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না পুরপ্রশাসন। আর সেই কারণেই তারা ফের কনটেনমেন্ট জোনের পথে হাঁটছে। বর্ষশেষের সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন কলকাতার নতুন মেয়র ফিরহাদ।
শুক্রবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সোমবার থেকে সেফ হোম চালু হচ্ছে কলকাতায়। আর যেখানে এক সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাবে, সেই এলাকা কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও জানান, এখন শহরের কোভিড সংক্রমিতের ৮০ শতাংশই উপসর্গবিহীন। ফিরহাদের দাবি, ‘‘জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও কলকাতার ৮০ শতাংশের মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই। ২০ শতাংশের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে। আবার তার মধ্যে তিন শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে।’’
অন্যদিকে, গত ক্রিসমাসে ছিল আলফা, এই ক্রিসমাসে ওমিক্রন। গত ক্রিসমাসে করোনার আলফা ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে শঙ্কিত ছিল বিশ্ব। এবার ওমিক্রন নিয়ে সারা বিশ্ব শঙ্কিত আতঙ্কিত। নতুন বছরের আনন্দও যে কারণে অনেকটাই ম্লান। মানুষ টিকা নেওয়ার পরেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হচ্ছেন না। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন কিছু সমীক্ষা আশার আলো দেখাচ্ছে। তাঁরা প্রকারান্তরে বলছেন, ওমিক্রনের এই দাপদাপানি এক হিসেবে হয়তো 'শাপে বর' হতে চলেছে, হতে চলেছে করোনা অতিমারীর 'শেষের শুরু'ও। সংশ্লিষ্ট সমীক্ষাগুলির দাবি, ফলে করোনা বা ওমিক্রন নিয়ে যতটা আশঙ্কায় ধুঁকছে সারা বিশ্ব ততটা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
Find out more: