মর্মান্তিক ঘটনা। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হাসমুখ আলি। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। দেখাশোনারও তেমন কেউ নেই। এই অবস্থায় কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই পড়েছিলেন তিনি। তেমন কোনও চিকিৎসাও হয়নি তাঁর। এরপরই এদিন জলপাইগুড়ি শহরের ২ নম্বর গুমটি এলাকায় একটি টোটোর মধ্যে প্রৌঢ় হাসমুখ আলিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হননি। তবে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে খবর দেওয়া সত্ত্বেও, কেউ তাঁর চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেনি। এমনটাই অভিযোগ। তাই একরকম বিনা চিকিৎসাতেই মৃত্যু হল তাঁর। এমনকি টোটোর মধ্যেই দীর্ঘক্ষণ পড়েছিল মৃতদেহটি। শেষে খবর পেয়ে হাসমুখ আলির মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস। দেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই জানা যায়, ওই ব্যক্তি করোনায় সংক্রামিত হয়নি। (এই প্রতিবেদনের ছবি প্রতীকী)
অন্যদিকে, বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে সাড়ে ১৭ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সকাল থেকেই মহানগরীর আকাশ রয়েছে মেঘলা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বুধবার উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের দু’-একটি জায়গায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বয়ে আসা একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বাংলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তার ফলে বাধা পেয়েছে উত্তুরে হাওয়া। মুখ লুকিয়েছে শীত। তার জায়গা নিয়েছে মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টি।
Find out more: