রবিবার আসানসোলে পৌঁছেই, সোমবারা মনোনয়ন জমা দিলেন আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন শত্রুঘ্ন। আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে হুড খোলা গাড়িতে চড়ে জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত রোড শো করেন তিনি। ওই মিছিলে পা মেলান আসানসোলের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ঢাক ঢোল বাজিয়ে বিপুল সমারোহের সঙ্গে বার হয় ওই নিছিল। শত্রুঘ্নর সঙ্গী হন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রবিবার সস্ত্রীক আসানসোলে পৌঁছন শত্রুঘ্ন। স্ত্রী পুনমের কথায়, ‘‘এটা আমাদের কাছে খুব আনন্দের দিন। কারণ দিদি আমাদের এই সুযোগ দিয়েছেন। তাই আমরা খুব খুশি। শত্রুঘ্নর সঙ্গে যে দিন থেকে বিয়ে হয়েছে সে দিন থেকে আমি ওঁর সঙ্গেই আছি। ওঁর খেয়াল রাখি। দিদির আশীর্বাদ আছে। আমরা এই লড়াইয়ে নিশ্চয়ই জিতব।’’
অন্যদিকে, সোমবার সকালে আলিপুরের সার্ভে অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যান বাবুল সুপ্রিয়। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিষ কুমার এবং দুজন কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এবং সুদর্শনা ঘোষ। সেই সময়ে তিনি বলেন যে আসানসোলে তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে গিয়েছিলেন এবং যা করার তিনি সেখানে করে দেখিয়েছেন। এবং সেই কারনেই তার নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি আরও বলেন যে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সময়ে এটাই দেখানো হয়েছে যে বাবুল সুপ্রিয়র পারফরমেন্স খারাপ ছিল তাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি মাথা উছু করে থাকার লোক এবং সেটা তিনি মেনে নেননি। তার মতে মননয়নের দিনে পুরনো কথা উঠবে তাতে তার কোনও সমস্যা নেই। কারণ এর ফলে তার মানসিকতায় কোনও পরিবর্তন আসবেনা।
Find out more: