মূল্যবৃদ্ধিতে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের। এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়েই এদিন নবান্ন সভাঘরে টাস্ক ফোর্স, বাজার সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত টোল প্লাজাগুলিতে পণ্যবাহী ট্রাকগুলি থেকে টোল নেওয়া বন্ধের আবেদন করা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। যাতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি থেকে একটু রেহাই দেওয়া যায় ব্যবসায়ীদের।
সর্ষের তেল থেকে শুরু করে ফল-সবজি আনাজপত্র, সবকিছু সস্তায় মিলবে রাজ্য সরকারের ৩৩২টি সুফল বাংলা স্টল থেকে। এছাড়াও গাড়িতে করে সুফল বাংলার রানিং স্টল ঘুরবে সর্বত্র। ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারের সুফল বাংলা স্টল চালু আছে। বাজার দরের থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে সুফল বাংলায়। রাজ্যে ৩৩২টি সুফল বাংলা স্টল রয়েছে। ৩৩২টি থেকে বাড়িয়ে ৫০০ সুফল বাংলার স্টল তৈরি করা হবে। প্রয়োজনে সুফল বাংলা স্টলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। জিনিসের দাম এত বেড়েছে, যেন রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে, হাতের থেকে সবকিছু যেন বেরিয়ে যাচ্ছে। রোগের কারণে আলুর উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমতে পারে। দাম নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়াতে হবে।”
আলু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ২২ টাকায়, এখন তা ১৮ টাকা কেজি। নাসিকের পিঁয়াজ ২২ টাকা, সুফল বাংলায় পাওয়া যাবে ২০ টাকা কেজিতে। সুখসাগর পিঁয়াজ বাজারে ২০ টাকা কেজি, সেটা মিলবে ১৫ টাকা কেজিতে। কলা ডজনপ্রতি ২৫ টাকায় মিলবে, বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া যায়। সুফল বাংলায় তরমুজ ২৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাবে। লাউ এখন ৩৫ টাকার বদলে ২২ টাকায় পাওয়া যাবে। ফুলকপি ৩৫ টাকা থেকে ২২ টাকায় পাওয়া যাবে। আদা-রসুন কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে পাওয়া যাবে বাজারের তুলনায়।
Find out more: