গণেশ টকিজের কাছে একচিলতে ঘরে দিদি স্তুতি নন্দীর সঙ্গে থাকেন মধ্য পঞ্চাশের বিজয়। মালিকের থেকে অটোটি ভাড়া নিয়ে চালান। যদিও পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দিয়ে নিজেই সবুজায়ন করেছেন সেই অটোর। নাম দিয়েছেন ‘পরিবেশবান্ধব যান’। সংসার চালাতে ভরসা সেটিই। তবে বিজয়ের কাছে সংসারের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় একটাই চিন্তা— কাঠফাটা রোদে অটোর সাজানো বাগান শুকিয়ে গেল না তো! মাথায় রকমারি ফুল- বাহারি পাতার সাজানো বাগান। ছোট ড্যাসবোর্ডেও সবুজ ঘাসের ছোঁয়া। সেখানে সময়ে সময়ে ফোটে নয়নতারা, দোপাটি ফুল। পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা কতটা, তা-ও লেখা অটোর গায়ে।
বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায় এসে বিজয় অটো চালানোর শুরু করেন সেই ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু ঠিকানা পাল্টালেও বদলায়নি তাঁর সবুজ-প্রীতি। তাই অটোর মাথাতেই সবুজায়ন করে ফেলেন। ফুলবাগান–গণেশ টকিজ রুটের নিত্যযাত্রীরা প্রতিদিনই দেখতে পান অটোটিকে।