সারদা মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি থাকাকালীন ২০১৪ সালে কুণাল ঘোষ ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন৷ পরে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি৷ তবে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় কুণালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ৷ এ দিন সেই মামলারই রায় দেয় আদালত৷ মামলাটির শুনানি ছিল বিধাননগরের এমপি–এমলএ আদালতে। সেখানেই বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য কুণাল ঘোষকে আত্মহত্যার চেষ্টার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন। কুণালের বিরুদ্ধে মামলাটি ছিল ৩০৯ ধারায়। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা আর্থিক জরিমানা হতে পারে। তবে শুক্রবার বিচারপতি জানিয়ে দেন, দোষী সাব্যস্ত হলেও কুণালের সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। বরং তৃণমূল নেতাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। আপনি যে লড়াই করছেন করুন। যত অবসাদই হোক, আত্মহত্যায় সমস্যার সমাধান হয় না। আপনি বিশিষ্ট সাংবাদিক। প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। আপনার কাছ থেকে সমাজ অনেক কিছু আশা করে। আপনি মামলা আইনে লড়ুন এবং কাজ চালিয়ে যান।' বিচারক জানিয়েছেন, আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য কুণাল ঘোষকে আদালত যে তিরস্তার করল, সেটিই তাঁর শাস্তি৷

রায়দানের পর কুণাল বলেন, বিচারকের পরামর্শ মাথায় রাখবেন তিনি৷ তবে জেলে থাকাকালীন পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার সহ যে যে অভিযোগ তাঁকে করতে শোনা গিয়েছিল, তা নিয়ে এ দিন কথা বলতে চাননি তৃণমূল নেতা৷

Find out more: