আজ আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দিল্লির আদালত। ইউএপিএ আইনে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়াসিন মালিকের মৃত্যদণ্ডের দাবি করেছিল এনআইএ। শেষপর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। আদালতে ইয়াসিন মালিক দাবি করেন, ১৯৮৪ সালের পর অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার পর থেকে তিনি অহিংস রাজনীতির পথেই রয়েছেন। দেশের ৭ প্রধানমন্ত্রীর সময়ে তিনি রাজনীতি করেছেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা প্রমাণ করুক কোনও হিংসার বা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত কিনা! রাজনীতি থেকে অবসর নেব, মৃত্যুদণ্ডও মাথা পেতে নেব।

অ্যাডভোকেট উমেশ শর্মা জানিয়েছেন, ইয়াসিন মালিককে দুটি যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। স্পেশাল এনআইএ বিচারপতি সমস্ত ধারা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের জন্য ফান্ড সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অন্যতম চক্রী বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ইয়াসিন মালিককে। এদিকে ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়ার পরে কাশ্মীরেও বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে সুরক্ষা বাহিনী। কোথাও যাতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয় সেকারণে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উপত্যকায়। দিল্লির আদালতে যখন ইয়াসিন মালিকের সাজা ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে সেইসব কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পাথর ছোঁড়া ঘটনা ঘটে। শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকাতেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি বুঝে সেনা তত্পরতা বেড়ে যায় শ্রীনগর সহ গোটা উপত্যকায়।

Find out more: