বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘‘আমরা রেণুকে পূর্ব বর্ধমানে নন নার্সিং কাজে লাগাচ্ছি। ওর ডান হাত না থাকায় ও নার্সের কাজ করতে পারবে না। অন্য কোনও কাজ করবে।’’ মমতাই জানান, রেণুকে সেই সরকারি চাকরিতে বহাল করার বিষয়ে নিয়োগপত্রও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের যাতে কঠোর শাস্তি হয়, তার প্রতিও নজর দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘যাদের ধরা হয়েছে, তাদেরও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’’
অন্য়দিকে, কেতুগ্রাম (Ketugram) কান্ডে গ্রেফতার দুই ভাড়াটে দুষ্কৃতী। বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে মুর্শিদাবাদের ভারতপুর থানার তালগ্রামের বাড়ি থেকে এই দুই ভাড়াটে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার (Arrest) করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। ধৃতদের নাম হাবিব শেখ ও আশরাফ আলি শেখ। গ্রেফতারির পর ধৃতদের আজ কাটোয়া মুকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ৬ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি নার্সের চাকরি পাওয়ায় স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাতের কবজি থেকে কেটে নেওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে কেতুগামের বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। তারপর এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত স্বামী শেখ সরিফুল। তাকে জেরা করেই জানা যায় যে একাজের জন্য দুই দুষ্কৃতীকে ভাড়া করেছিল সে। অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা করে এই কুকর্ম ঘটিয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে 'সবক' শেখাতেই স্বামী শেখ সরিফুল তার মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদ মারফত দুই দুষ্কৃতীকে ভাড়া করে। ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই দুষ্কৃতীকে ভাড়া করেছিল শেখ সরিফুল। অভিযুক্ত ৩ জন ধরা পড়লেও চাঁদ মহম্মদ এখনও অধরা । তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
Find out more: