বয়স যে সংখ্যা মাত্র তা আরও একবার প্রমাণিত! সৌজন্যে মালদার ইংরেজবাজারের গয়েশপুর অঞ্চলের ৬১ বছরের 'তরুণ' শান্তনু মৈত্র। ভাবছেন ৬১ বছরে 'তরুণ' হয় কী করে? হয় হয় মনে ৬১ বছর ১৬ বছরেও পরিণত হয়! তাহলে বিষয়টা খুলেই বলা যাক।
সখ তো বটেই, সেই সঙ্গে স্বপ্নপূরণও। শান্তনু বাবু কর্মজীবনে ছিলেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার৷ চাকরির ধরা-বাঁধা নিয়মের মাঝেও খুঁজে নিতেন জীবনের অফুরান রসদ৷ তাই কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই একছুটে বেরিয়ে পড়তেন নিজের ইচ্ছাপূরণে। চাকরি করতে করতেই উত্তরাখণ্ড, সিকিম তো বটেই, ট্রেকিং করেছিলেন সান্দাকফু, ফালুটেও৷ মাঝে কিছুটা থমকাতে হলেও, ইতি ঘটেনি স্বপ্নের৷
এর পর চাকরির মেয়াদ ফুরোয় গতবছর, কিন্তু ফুরোয়নি জীবনশক্তি৷ তাই অবসর জীবনেও স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে একের পর এক পর্বতের পানে ছুটে চলেছেন শান্তনুবাবু৷ আর সেই স্বপ্নপূরণে নতুন নজির গড়লেন তিনি। ৬১ বছর বয়সে ১১ দিন পায়ে হেঁটে ১৩০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে দুর্গম এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছলেন শান্তনুবাবু। যা এককথায় অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়।
অন্যদিকে, রাজ্য বিধানসভায় সাতজন বিজেপি বিধায়কের উপর থেকে সাসপেনশন উঠে গেল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মন, শঙ্কর ঘোষ, নরহরি মাহাত-সহ সাতজনের উপর থেকে সাসপেনশন উঠল। বৃহস্পতিবার ধ্বনি ভোটে সাসপেনশন উঠে যায়। এই সাসপেনশন তোলা নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় মোশান এনেছিল বিজেপি। সেই বিষয়ে আলোচনার সময় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা তিক্ততা চাই না। সকলকে বলব মোশানকে সমর্থন করুন। আমরা সকলে মিলে বিধানসভা চালাব। কাউকে বাইরে রেখে বিধানসভা চালাতে চাই না। কিন্তু বিধানসভা যেমন বিরোধীদের ছাড়া চলতে পারে না। তেমনই বিরোধীদেরও কিছু দায়িত্ব, কর্তব্য রয়েছে। যা তাঁদের পালন করা উচিত।"
Find out more: