দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করা হয়েছে ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র মনোনীত প্রার্থী হিসাবে। এরপরেই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে লক্ষ লক্ষ মানুষ যারা জীবনের কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা মুর্মুর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা পান। ওড়িশা থেকে বিজেপির আদিবাসী নেতা মুর্মু একজন "মহান রাষ্ট্রপতি" হবেন বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী একটি টুইটে লেখেন, "লক্ষ লক্ষ মানুষ, বিশেষ করে যারা দারিদ্র্য এবং কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন, তারা শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন থেকে শক্তি লাভ করে। নীতিগত বিষয় তার বোঝাপড়া এবং সহানুভূতিশীল প্রকৃতি আমাদের দেশকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে।"
প্রসঙ্গত, ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে ১৯৫৮ সালে এক সাঁওতাল পরিবারে জন্ম দ্রৌপদীর। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষিকার কাজ করতেন। বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে ১৯৯৭ সালে ওড়িশার রায়রংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর হন তিনি। দ্রৌপদী বিজেপির তফসিলি উপজাতি মোর্চার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, দক্ষতার সঙ্গে সংগঠন সামলেছেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক পথ ছিল মসৃণ। ২০০০ এবং ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তিনি নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজেডি-বিজেপি সরকারে মন্ত্রী হন। প্রথম দফায় তিনি সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি পরিবহণ, পশুপালন, মৎস্য দফতরও সামলান। ২০০৭ সালে ওড়িশার সেরা বিধায়ক হিসাবে ‘নীলকণ্ঠ পুরস্কার’ পান দ্রৌপদী। ২০০৯ সালে বিজেডির সঙ্গে বিজেপির জোট ছিন্ন হয়ে গেলেও মুর্মু বিধানসভা ভোটে জিতে যান। ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। দ্রৌপদীই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল যিনি পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন। ২০১৭ সালেও রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম উঠে এসেছিল। শেষ পর্যন্ত বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকেই বেছে নেয় কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন জোট। রাজনৈতিক জীবনে সফল হলেও দ্রৌপদীর ব্যক্তিগত জীবন যন্ত্রণাময়। স্বামী এবং দুই ছেলেকে হারিয়েছেন দ্রৌপদী। একটি মেয়ে রয়েছে তাঁর।
Find out more: