ন্যূনতম কোভিড-বিধি মেনে চলার বালাই নেই অনেকেরই। নিউ মার্কেট, কোলে মার্কেট, গড়িয়াহাট বাজার থেকে শুরু করে কলেজ স্ট্রিট, হাতিবাগান, শ্যামবাজার— মাস্কহীন ছবিটা সর্বত্র একই। তাই চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন, শহরে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও নাগরিকদের একাংশ যে ভাবে মাস্ক বাদ দিয়ে নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে বিপদ আরও বাড়বে। যদিও মুখে মাস্ক পরা নিয়ে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত তেমন কঠোর মনোভাব না নেওয়ায় কিছুটা হতাশই হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, প্রশাসন কড়াকড়ি শুরু না করলে মাস্ক পরতে আগ্রহ দেখাবেন না নাগরিকদের একটা বড় অংশই। এত দিন দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যায় কম-বেশি হচ্ছিল। কিন্তু শনি ও রবিবার শহরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা একই থেকেছে— ২৪৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় শনিবারের তুলনায় রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। শনিবার সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৪, যা রবিবার বেড়ে হয়েছে ১৫৯। বিশেষত, সল্টলেক এলাকায় কোভিডের দাপট বেড়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। ই-মেল করে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ মুকুল রায় (Mukul Roy)। ফলে পিএসি-র বহু বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এর ফলে পিএসি-র কাজকর্ম বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সেজন্য তিনি ইস্তফা দিয়ে থাকতে পারেন। বিজেপির (BJP) টিকিটে বিধানসভা ভোটে জিতলেও, মমতা-অভিষেকের উপস্থিতিতে মুকুলের তৃণমূলে (TMC) 'ঘর ওয়াপসি' হয়। এরপর থেকে তাঁর পিএসি চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা চলছেই। আইনি জটিলতাও জারি রয়েছে। সম্প্রতি আরও এক বছর পিএসি-র মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
Find out more: