সোমবার কার্যত চ্যালেঞ্জের সামনে মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণের পর আগামী সোমবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে একনাথ শিন্ডেকে। জানা গিয়েছে, রবিও সোমবার দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। এই অধিবেশনে স্পিকার নির্বাচন করা হবে। কংগ্রেসের নানা পাটোলের ইস্তফার পর থেকে স্পিকার পদটি ফাঁকা রয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনে মহারাষ্ট্রের ২০তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ বাক্য পাঠ করেন একনাথ। তার পরই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শিন্ডের নাম বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘোষণা করেন ফডণবীস। সেই সঙ্গে তিনি এও জানান যে, নতুন সরকারে তিনি অংশ নিচ্ছেন না। এর কিছুক্ষণ পরই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা জানান, উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে ফডণবীসকে। পাশাপাশি এও জানান যে, অনুরোধে শেষ পর্যন্ত শিন্ডের ‘ডেপুটি’ হতে রাজি হয়েছেন ফডণবীস।
অন্যদিকে, উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পেয়েও খুশি নন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (BJP leader Devendra Fadnavis)। এমনটাই মত এসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের (NCP chief Sharad Pawar)। বৃহস্পতিবার শরদ পাওয়ার দাবি করেছেন যে একনাথ শিন্ডের সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করার সময় বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীস খুব খুশি ছিলেন না। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস সরকার সরে যাওয়ার পর বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা শিন্ডে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। সাংবাদিকের শরদ পাওয়ার বলেন, "আমি মনে করি ফড়ণবীশ খুব আনন্দের সঙ্গে দ্বিতীয়পদ গ্রহণ করেননি। তার মুখের অভিব্যক্তি সব বলে দিয়েছে।" এনসিপি প্রধান আরও বলেন, কিন্তু তিনি নাগপুর থেকে এসেছেন এবং তিনি 'স্বেচ্ছাসেবক' হিসাবে কাজ করেছেন এবং সেখানে যখন কোনও আদেশ আসে, তখন তা অনুসরণ করতে হবে।"