মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে দ্রৌপদীর গাড়ি এসে পৌঁছয় স্বামীজির ভিটেবাড়ির সামনে। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর পৌঁছনোর আগেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয় কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। দ্রৌপদীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল এবং রাজ্য বিজেপির অন্য নেতা এবং বিধায়কেরাও। ছিলেন বেশ কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। দ্রৌপদীকে তাঁদের সঙ্গেই স্বামীজীর বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। স্বামীজির ছবিতে ফুল-মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানান রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সারদা দেবী এবং তাঁদের পাশেই থাকা দেবী কালীর মূর্তিতেও। স্বামীজির বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন এবং মঠের সন্ন্যাসীরা। তাঁদের সঙ্গেই বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন ওড়িশার বিজেপি নেত্রী এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী। তাঁকে একটি শাল, স্বামীজির ছবি, তাঁর বই এবং একটি লাল পাড় সাদা শাড়ি উপহার দেন সন্ন্যাসীরা।
অন্যদিকে, সোমবার তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। জিটিএ-র শপথে পাহাড়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই পাহাড়ের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অর্থাৎ জিটিএ’র (GTA) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি এবং উন্নয়নের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এক দশক পার হল জিটিএ নির্বাচনের। মিটল শান্তিপূর্ণভাবেই। পৃথক রাজ্যের দাবি ছেড়ে পাহাড়বাসী এখন উন্নয়নের জোয়ারে সামিল হতে চায়। জিটিএ’র নির্বাচিত চেয়ারম্যান অনীত থাপা শপথের মঞ্চ থেকেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন, পাহাড়ে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। অনীতের পরই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরলেন। এদিন তিনি বলেন, পাহাড়ে এরকম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগে হয়নি। পাহাড় শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়। শান্তি থাকলেই উন্নয়ন হবে। পাহাড়ে যাঁরা ফুটপাতে ব্যবসা করে তাদের জন্য দোকান করা হবে। মিরিকের জন্য আলাদা পরিকল্পনা। পাহাড়ের মানুষ যা করতে পারে তা অনেকেই পারে না। আইটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য দার্জিলিং ভাল জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খুলতে চলেছে। দার্জিলিংয়ে মাল্টিলেয়ার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হতে চলেছে।
Find out more: