দিনে এই রুটে এখন ১০০টি মেট্রো চলছে। শিয়ালদহ থেকে ৫০টি, সল্টলেক থেকে ৫০টি ছাড়বে। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল মেট্রো কর্তারা। প্রথম দিনের যাত্রী সংখ্যা তাদের নিরাশ করেনি। শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ যাওয়ার জন্য প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৬.৫৫-য়। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহগামী প্রথম মেট্রো সকালে ছাড়বে ৭টার সময়। শিয়ালদহ থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯.৩৫-এ। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে ৯.৪০-এ। সকাল এবং রাতের দিকে দুই রুটেই দুটো মেট্রোর ব্যবধান থাকবে ২০ মিনিট। ব্যস্ত সময়ে ব্যবধান কমে হবে ১৫ মিনিট।
প্রথমে দিনেই আয় ৩ লক্ষেরও বেশি! শিয়ালদহ থেকে মেট্রোয় উঠলেন ১২ হাজার ৭০০ জন যাত্রী। আর সেক্টর ৫ থেকে? ৩১ হাজার। ব্য়বধান মাত্র ২ দিনের। সোমবার হাওড়া ময়দান থেকেই ভার্চুয়ালি শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এদিন থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য চালু হয়ে গেল শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ৫ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা। উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
মেট্রো সূত্রের খবর, এত দিন ফুলবাগান স্টেশন থেকে সারা দিনে যত সংখ্যক যাত্রী ইস্ট-ওয়েস্টে যাতায়াত করতেন, তার প্রায় দশ গুণ বেশি যাত্রী এ দিন ওই মেট্রোয় সফর করেছেন। মেট্রো সূত্রের খবর, যেখানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় দৈনিক গড়ে তিন হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন, দিনের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দিন সেখানে ৩১ হাজারেরও বেশি যাত্রী ওই মেট্রোপথে সফর করেছেন। এঁদের বড় অংশই সফর করেছেন শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যে। আগে অনেকেই ‘কিউ আর’ কোড ব্যবহার করে টিকিট কাটতেন। এত দিন সব চেয়ে বেশি কিউ আর কোড ব্যবহার হয়েছে ওই স্টেশনেই। ফলে ভিড় কতটা বাড়তে পারে, তার আগাম ধারণা মেট্রোর কর্মীদের মধ্যে ছিল না। অভিযোগ, সল্টলেকের অফিসপাড়ার ভিড় করুণাময়ী স্টেশনে হাল্কা হয়ে যাবে, এমন মনোভাব থেকেই প্রস্তুতির পাশ দিয়ে হাঁটেননি ওই স্টেশনের আধিকারিকেরা।
Find out more: