কোভিডকালে ২ বছর স্থগিত থাকার পর ফের ২১-এর সমাবেশ। হাইভোল্টেজ একুশে তৃণমূলের পাওয়ার প্লে (TMC 21 July)। এবার একুশের ২৯। কী এই ২১ জুলাই? বৃহস্পতিবার জাগো বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‌২১ জুলাই আমার কাছে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই আমাদের অহিংস, গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চক্রান্ত চালিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার এবং সিপিআইএম। আন্দোলনের উপর অত্যাচারের এই দিনটি বাংলা তথা দেশের চিরকালীন ইতিহাসে এক কলঙ্কিত দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সেদিন কোনও অপরাধ ছাড়াই আমার সহকর্মীদের উপর তাণ্ডব করেছিল পুলিশ আর সিপিআইএমের গুন্ডারা। প্রশাসনকে জানিয়ে, অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি হয়েছিল। তারপরেও ওরা প্রাণঘাতী আক্রমণ করেছিল, তা গণতন্ত্রের লজ্জা। চিরকালীন ইতিহাসের কালো দিন। আমি মনে করি ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই–সহ যতগুলি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সিপিআইএম বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে, কতজনকে শহিদ করেছে, বাংলার মানুষের তা মনে রাখা উচিত। এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, তারাও মনে রাখুক, ২১ জুলাই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যারা গিয়েছিল, তারা অপরাধী ছিল না। তারা ছিল রাজনৈতিক কর্মী, গরিব সাধারণ মানুষ। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করা হল। আমি ধন্যবাদ দিই আমাদের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষকে, সেদিন আহতদের প্রাণ বাঁচাতে রক্ত দেবার জন্য তাঁরা লাইন দিয়েছিলেন।’‌

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের প্রসঙ্গে স্বয়ং মমতা লিখেছেন, ‘‌ওইদিন আমি ঘটনাচক্রে বেঁচে গিয়েছিলাম। আমাকে খুনের চেষ্টা করেছিল ওরা। ওদের সংগঠিত ও পরিকল্পিত হামলার মধ্যে টার্গেট করেছিল আমাকে। কাঁদানে গ্যাসের শেল পায়ের সামনে। শাড়িতে প্রায় আগুন লেগে যাচ্ছিল। পুলিশ আর সিপিআইএম ক্যাডাররা আমাকে ঘিরে ধরে আঘাত করেছে লাগাতার। একটা সময়ে গুলিও করতে যাচ্ছিল। আমার পিএস ও মাইতিদা, তিনিও পুলিশকর্মী, পালটা রিভলবার তুলে আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। না হলে আমাকে গুলি করে মারত সেদিনই। আমি ভয়াবহ চোট পেলাম। রাজপথে রক্তের হোলি খেলল সিপিআইএম।’‌

Find out more: