দ্রৌপদীর জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তিনি বলেন, "আশা করব নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ভালো কাজ করবেন। পক্ষপাত দুষ্ট না হয়ে নির্ভীকভাবে দেশের সেবা করবেন।" তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।
একনজরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে জেনে নিন
১) ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে ১৯৫৮ সালে এক সাঁওতাল পরিবারে জন্ম দ্রৌপদী মুর্মুর। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষিকার কাজ করতেন। তবে দ্রৌপদীর ব্যক্তিগত জীবন যন্ত্রণাময়। স্বামী এবং দুই ছেলেকে হারিয়েছেন তিনি। একটি মেয়ে রয়েছে তাঁর।
২) বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে ১৯৯৭ সালে ওড়িশার রায়রংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর হন দ্রৌপদী মুর্মু। দ্রৌপদী বিজেপির তফসিলি উপজাতি মোর্চার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, দক্ষতার সঙ্গে সংগঠন সামলেছেন তিনি।
৩) ২০০০ এবং ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে দ্রৌপদী নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজেডি-বিজেপি সরকারে মন্ত্রী হন। প্রথম দফায় তিনি সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি পরিবহণ, পশুপালন, মৎস্য দফতরও সামলান।
৪) ২০০৭ সালে ওড়িশার সেরা বিধায়ক হিসাবে ‘নীলকণ্ঠ পুরস্কার’ পান দ্রৌপদী মুর্মু। ২০০৯ সালে বিজেডির সঙ্গে বিজেপির জোট ছিন্ন হয়ে গেলেও তিনি বিধানসভা ভোটে জয় লাভ করেন।
৫) ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। দ্রৌপদীই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল যিনি পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন।
৬) ২০১৭ সালেও রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম উঠে এসেছিল। শেষ পর্যন্ত বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকেই বেছে নেয় কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন জোট। তবে এবার তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।