শুক্রবার সকালে আচমকাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যায় ইডি। এর আগেও এসএসসি দুর্নীতি মামলাতে তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়। তবে এদিন ইডিরর তরফ থেকে এই তল্লাশি অভিযানের তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। এমনকী শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (paresh Adhikari) বাড়িতেও গেলেন তদন্তকারীরা। একসঙ্গে রাজ্যের ১৩টি জায়গায় তল্লাশি ইডি-র। অনুমান, কলকাতা হাইকোর্টের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-সহ তিনটি মামলা চলছে। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতও গিয়েছে ইডি। এসএসসি অ্যাডভাইসরি কমিটির একাধিক সদস্যের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এসএসসি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতে ইডি হানার নেপথ্যে বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ দেখছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘হাই কোর্ট অকারণে হেনস্থা করতে বলেনি। কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। হাই কোর্ট সিবিআইয়ের কথা বলেছে। এখন ইচ্ছা করে আর্থিক তছরুপের মামলা ঢোকানো হচ্ছে। বেইজ্জত করতে এ সব করা হচ্ছে।’’ বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘ইডির তৎপরতা আগে কখনও দেখিনি। রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থা করা বিজেপির হাতিয়ার। বাংলায় বিজেপির কিছু নেই। বাংলার বিজেপির শক্তি ইডি। গত কাল আমরা কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছি। লড়াই শুরু হয়েছে। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।’’

উল্লেখ্য, ইডি-সিবিআইকে দিয়ে ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ভয় দেখানোর রাজনীতি’ নিয়ে অতীতেও সরব হতে দেখা গিয়েছে মমতা বাহিনীকে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে আবারও কেন্দ্রের ইডি-সিবিআইয়ের ‘অপব্যবহার’ নিয়ে মমতা কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই এলে বলবেন, আসুন আসুন বসুন। আসন পেতে দেবেন। সামনে গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে দেবেন। সিবিআই-ইডি বাড়িতে এলে থালায় করে মুড়ি খেতে দেবেন।’’

Find out more: