২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আলিপুর জাজেস কোর্টে সিবিআইয়ের আবেদনের পর শুক্রবার পার্থকে সশরীরে হাজির করানো হয় আদালতে। এজলাসে পার্থের ঠিক পাশেই বসেছিলেন সিবিআইয়ের গ্রেফতার হওয়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের নিজের মধ্যে কথাও বলতে দেখা যায়। শুনানিতে পার্থের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল জেল হেফাজতেই রয়েছেন। তাই আলাদা করে তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করতে চাইছে কেন? এর পর সিবিআই জানায়, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যে পাঁচ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে তিন জনই গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের দাবি, পুরো কাণ্ডে পার্থের ভূমিকাই বড়। কারণ, ওই সময়ে তিনি ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
পাশাপাশি, 'মরেই যাব। আমাকে বাঁচতে দিন।' বলতে বলতে আদালতে কেঁদে ভাসালেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। কাতর আর্জি জানালেন জামিনের। বললেন, 'আমি এমবিএ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে কলঙ্কহীন কেরিয়ার।' একইসঙ্গে এদিন আলিপুর আদালতে শুনানিতে নিয়োগ দুর্নীতির দায় এসএসসি-র উপরই চাপালেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুনানিতে পার্থ বলেন, 'আমার কী ভূমিকা? এসএসসি আলাদা সংস্থা। তারা সব্য তথ্য মুছে দিয়েছে। আর এখন আমাকে জেলে রাখতে এজেন্সি চক্রান্ত করছে। আমাকে বাঁচতে দিন।' পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। সেই আবেদনের উপর এদিন শুনানি হয় আলিপুর আদালতে। এদিন শুনানিতে ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ করেননি পার্থ। বদলে এদিন আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, '২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করে ইডি। কিন্তু এতদিনেও চার্জশিট দিতে পারেনি ইডি। এরপরই আচমকা সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে হেফাজতে চাইছে। এটা চক্রান্ত।'
Find out more: