সোমবার রাতে নিমতলা ঘাটে পরিজনের দেহ সৎকারে এসেছিলেন বেলেঘাটার কয়েক জন। সেই সময় তাঁদেরই পাঁচ জন ঘাটের ধারে বসেছিলেন। বান আসার আগে ঘোষণা হলেও পাঁচ জনকে সেখান থেকে সরানো যায়নি বলে অভিযোগ। এর পর বানের তোড়ে ভেসে যান পাঁচ জনই। স্থানীয়রা জলে নেমে দু’জনকে উদ্ধার করলেও বাকি তিন জনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। নিখোঁজ তিন জনের সন্ধানে গঙ্গায় নেমে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। বেলেঘাটা থেকে নিমতলায় দেহ দাহ করতে যায় একটি শ্মশান যাত্রী দল।
প্রসঙ্গত, দশমীর সন্ধেয় আচমকাই হড়পা বান আসে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। অনেকে আবার সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নদীতে স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে,পাড়ের দিকে এগোতে পারছিলেন না তাঁরা! প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশু-সহ ৮ জনের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। উদ্ধার করা গিয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। তবে এখানেই শেষ নয়। দশমীর দুদিন পরই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার ও আহতদের সাহায্যের জন্য আলাদা ভাবে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। একই পরিমাণ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
Find out more: