ফের কলকাতা থেকে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশের তল্লাশি অভিযানে প্রায় ৮৪০ কেজির বাজি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে পোস্তা থানায় খবর আসে যে, কালীকৃষ্ণ ঠাকুর রোডের একটি দোকানে নিষিদ্ধ বাজি মজুত করে রাখা হয়েছে। সেই সূত্রে পুলিশ ওই জায়গায় হানা দেয়। পুলিশ বাজিগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। দোকানের মালিক, দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিটের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সরকার (৬২)-কে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মজুত করে রাখার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নিষিদ্ধ বাজির ব্যবহার রুখতে কালীপুজোর আগে আরও এমন তল্লাশি চলবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
অন্যদিকে, আজ, শনিবার সকালে ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হয় মানিক ভট্টাচার্যের মহিষবাথানের অফিসে। এদিন তদন্তকারী দল কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় মহিষবাথানের একটি অফিসের সামনে। এই অফিস ঘরটি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠের নামে নেওয়া ছিল। তবে অফিসটির চাবি পাওয়া যায়নি। তাই তালা ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই অফিস ভাড়া নিয়ে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মানিকের ঘনিষ্ঠ। যদিও গত দু’মাস আগে হঠাৎ এই অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রেনিং সেন্টার লেখা বোর্ডও। কেমন করে খুলল অফিস? আজ ইডি অফিসাররা ট্রেনিং সেন্টারের সামনে পৌঁছে যান সকালে। যদিও চাবি না পেয়ে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। বাড়ির মালিকের কাছেও চাবি ছিল না বলে জানানো হয়। অবশেষে একজন চাবিওয়ালাকে ডেকে নিয়ে এসে শাটারের তালা ভেঙে অফিসের ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা। সেখানে একাধিক নথি খতিয়ে দেখে বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ফর্ম, ছবি, স্ট্যাম্প–সহ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছেন ইডি অফিসাররা। আলমারিতে থাকা ফাইল খুলেও দেখেন তাঁরা।
Find out more: