১৮ অক্টোবর উত্তর আন্দামান সাগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে, আইএমডি। এটি পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে পশ্চিমকেন্দ্রীয় এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। ২০ অক্টোবর নাগাদ এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। গতকাল পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলের কাছে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এটি শক্তি হারিয়েছে। তবে এর কারণে তামিলনাড়ু, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, দক্ষিণ কর্ণাটক এবং কেরলে খুব ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২০ অক্টোবরের পর্যন্ত তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকাল, কেরল এবং মাহেতে বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ১৭ অক্টোবর মধ্য মহারাষ্ট্র এবং কোঙ্কন এবং গোয়াতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, রাজ্যে ফের চালু হচ্ছে 'দুয়ারে সরকার'। সঙ্গে 'পাড়ায় সমাধান'ও। কবে? ১ নভেম্বর থেকে। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের উপর বিশেষ জোর দিলেন তিনি। রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতার আসার পর, একটি নয়া প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। নাম, 'দুয়ারে সরকার'। এই নিয়ে পঞ্চমবার রাজ্যে 'দুয়ারে সরকার' ক্য়াম্প বসতে চলেছে। বছর ঘুরলেই আবার পঞ্চায়েত। এবার 'দুয়ারে সরকার' কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে? খাদ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্রেডিট কার্ড-সহ ২৫ সরকারি পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। এদিন নবান্নে বসেই জেলাশাসকদের সঙ্গে 'দুয়ারে সরকার'-র প্রস্তুতি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। স্রেফ বিভিন্ন দফতরের মধ্য়ে সমন্বয় জোর নয়, মালবাজারে বিপর্যয়ের সেচ দফতরের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্য়সচিব বলেন, 'সেচ দফতর আগে থেকে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসকে কেন জানায়নি। কেন জানাল না? ওরা কি ঘুমাচ্ছিল'? বৈঠকে তখন উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের সচিব প্রভাত মিশ্র। তিনি অবশ্য কিছু বলেননি। দশমীর সন্ধেয় হড়পা বান এসেছিল জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে প্রাণ হারান শিশু-সহ ৮ জন।

Find out more: