রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরেই আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ২০টি জেলার পঞ্চায়েতের আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। কমিশনের প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুযায়ী জেলা পরিষদে মোট আসন ১০৩টি বাড়তে পারে। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ২৮১টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ১৩,৭১২টি আসন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদে আসনের সংখ্যা ছিল ৮২৫। খসড়া প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ৯২৮টি করার কথা বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে আসনের সংখ্যা ৯,২১৭ থেকে বেড়ে হতে পারে ৯৪৯৮।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরেই আসন সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৮ সালে গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ছিল ৪৮,৬৫০টি। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৬২,৩৬২টি। অর্থাত্ মোট আসন বেড়েছে ১৩,৭১২টি। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতিতে ২০১৮ সালে আসন ছিল ৯,২১৭। এবার তা ২৮১টি বেড়ে হয়েছে ৯,৪৯৮টি। অন্যদিকে, জেলা পরিষদে ২০১৮ সালে মোট আসন ছিল ৮২৫টি। এবার ১০৩টি আসন বেড়ে মোট আসন সংখ্যা হয়েছে ৯,২৮টি। কেন এমন আসন বৃদ্ধি? পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হতে অনেকটাই সময় নেয়। তাই চেষ্টা করা হয় প্রতিটি বুথে যতটা সম্ভব কম ভোটার রাখা যায়। গত ২ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুথে ভোটারের সংখ্যা কমিয়ে ভোটগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে চাইছে কমিশন। এভাবে পঞ্চায়েতের ৩টি স্তরেই আসন সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই খসড়া তালিকা নিয়ে আপত্তি বা কোনও সংশোধনের প্রস্তাব থাকলে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত তা নিয়ে আবেদন জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। আবেদন জানানো যাবে, কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকের কাছে। তার ভিত্তিতে খসড়া তালিকা সংশোধনের কাজ হবে ৭-১৬ নভেম্বর। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হতে পারে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে।
Find out more: