কালীপুজোর রাত থেকেই ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে রাজ্যে। তবে মূলত দুই ২৪ পরগণায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দুই মেদিনীপুরে এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। যা বেড়ে ৫০ কিলোমিটারও হতে পারে। সোমবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাঙের প্রভাব নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীায় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল রাত থেকেই কলকাতা-সহ সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ইতিমধ্যেই ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছে গিয়েছে। ঝড়ের গতি আরও বাড়তে পারে। উপকূলবর্তী এলাকায় এই গতি আরও বাড়বে। ঝড়ের গতি সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রত ঘণ্টায় হতে পারে।

ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বেড়ে ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। তার পর ধীরে ধীরে শক্তি কমবে ঝড়ের। তবে এই তীব্রতায় হাওয়া বইবে শুধু উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেই। এই ঝড়ে কলকাতাবাসীর ভয়ের তেমন কারণ নেই। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী দক্ষিণবঙ্গের অন্য পাঁচ জেলা হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া এবং আংশিক মুুর্শিদাবাদে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। দমকা হাওয়া চলবে মাঝে মধ্যে। এর থেকে বেশি কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলেই আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস। যদিও একইসঙ্গে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সতর্ক করেছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের। উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা আছে। মাঠের ধানও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্ষতি হতে পারে কাঁচা রাস্তার। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া জরুরি।

Find out more: