শুক্রবার রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের চিন্তন শিবিরে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি মন্তব্য করেন, এক দেশ, এক ইউনিফর্ম। পুলিসদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা স্রেফ একটা ভাবনা। এটি রাজ্যগুলির উপরে চাপিয়ে দিতে চাইছি না। বিষয়টি রাজ্যগুলি ভেবে দেখতে পারে। আগামী ৫, ৫০ কিংবা একশো বছরে এটা বাস্তবায়িত হতেই পারে। ভেবে দেখুন আপনারা। ইতিমধ্যেই অমিত শাহ জানিয়েছেন প্রতিটি রাজ্যে এনআইএর দফতর হবে। তারাও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তদন্ত করবে। শাহর ওই মন্তব্যের পরই প্রধানমন্ত্রী এক দেশ এক উর্দির পক্ষে সওয়াল করলেন। এনিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কিন্তু তা দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নের প্রতিটি রাজ্যেরই একে অন্যকে দেখে শেখা উচিত। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রশ্নে সংবিধান অনুযায়ী দেশের রাজ্যগুলিকে যেমন একসঙ্গে কাজ করতে হবে তেমনি এটা প্রতি রাজ্য প্রশাসনের দেশের প্রতি কর্তব্যও।
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও মোদী জমানায় যে ভাবে রাজ্যে ঘটে যাওয়া অপরাধের তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যের অধিকারের উপরে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ বলে সরব বিরোধীরা। শুক্রবার মোদীর ‘অভিন্ন পুলিশি উর্দির’ ঘোষণার পর তা আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে নতুন করে বিতর্কের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিজেও ওয়াকিবহাল। শুক্রবার তাঁর বক্তৃতাতেও এক আঁচ মিলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা রাজ্যগুলির দায়িত্ব, কিন্তু এগুলি জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার সঙ্গেও যুক্ত।’’ ঘটনাচক্রে, অতীতে একতরফা সিদ্ধান্তে এনআইএ তদন্ত এবং ইডির ক্ষমতাবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও একই ভাবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ যুক্তি দিয়েছিল কেন্দ্র।
Find out more: