যান্ত্রিক কোনও গোলযোগের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেনি। বরং তার পিছনে রয়েছে সিগন্যাল অমান্য করার মতো কারণ। সেই অমান্য করার কারণেই ওই ট্রেন চালককে প্রাথমিক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এলে বাকি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে খবর, সিগন্যাল অমান্য করেই এগিয়ে গিয়েছিলেন কারশেডগামী ট্রেনের চালক। তাতেই বাধে বিপত্তি। ‘সান্টিং লোকো পাইলট’ সিগন্যাল মানেননি বলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে রেল। কারণ, যান্ত্রিক কোনও গোলযোগের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তবে রেল জানিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এলে বাকিটা বোঝা যাবে। বিষয়টিকে ‘সিগন্যাল পাস্ড অ্যাট ডেঞ্জার’-এর ঘটনা বলেও উল্লেখ করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, বুধবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। শিয়ালদা স্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরোয় যাত্রীবোঝাই আপ রানাঘাট লোকাল। ওই একই সময়ে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরোয় কারশেডগামী একটি খালি লোকাল ট্রেন। শিয়ালদা DRM অফিস পেরিয়ে, কারশেডের ২০০ মিটার আগে,পাশাপাশি ধাক্কা লাগে দু’টি ট্রেনের। সংঘর্ষের তীব্রতায় কারশেডগামী লোকাল ট্রেনটির চালকের কেবিনের ডানদিকের অংশ তুবড়ে যায়। আর যাত্রীবোঝাই রানাঘাট লোকালের পিছন দিকে, গার্ডের কেবিনের বাঁদিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি সংঘর্ষের জেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় কারশেডগামী খালি ট্রেনের চাকা। বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনদু’টিকে ওই জায়গা থেকে সরানোর পর, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
Find out more: