আগুন নিয়ন্ত্রণে আরও জোর দিতে রাজ্য সরকারের নয়া পদক্ষেপ। রাজ্যে নতুন করে চারটি অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র (Fire Station) তৈরি করতে চলেছে সরকার। লেকটাউন, দেগঙ্গা, জঙ্গিপুর ও দুবরাজপুরে তৈরি হতে চলেছে এই অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্রগুলি। এছাড়াও টালিগঞ্জ (Tollygunge) ও কালীঘাটের (Kalighat) অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র দুটি মেরামত করে নতুন রূপে তৈরি করা হবে বলেও সূত্রের খবর।

ঘনবসতিপূর্ণ ও ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে ড্রোনের (Drone) ব্যবহার করবে অগ্নি নির্বাপণ দফতর। আগুনের উৎস চিহ্নিত করতে এই ড্রোন বিশেষভাবে কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী মাসের মধ্যেই শহরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ড্রোনের ব্যবহার চালু করতে চলেছে অগ্নি নির্বাপণ দফতর।

উল্লেখ্য, বহুক্ষেত্রে ঘনবসতিপূর্ণ ও ঘিঞ্জি এলাকায় দমকলের গাড়ি পৌঁছতে পারে না। সেক্ষেত্রে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় দমকলকে। এর ফলে আগুন ছড়িয়ে যায় অনেকটা এলাকাজুড়ে। এমনকী আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে আগুন নেভানোর ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়ে যান দমকল কর্মীরা। এই কথা মাথায় রেখে ঘনবসতিপূর্ণ ও ঘিঞ্জি এলাকায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে অনেক সহজ হবে পাশাপাশি আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কম থাকবে।


অন্যদিকে, করোনা (Covid 19) মহামারি কাটিয়ে চলতি বছরে গঙ্গাসাগর মেলায় (Gangasagar Mela 2023) পুণ্যার্থীদের ঢল নামবে বলেই আশাবাদী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আর সেই কারণে এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, উপকূল রক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনীর পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও যথেষ্ট তৎপর সাগরতটে। এছাড়াও বাড়তি নিরাপত্তা ও নজরদারির জন্য এবার এনডিআরএফের (NDRF) তরফে সাগরতটে নিয়ে আসা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লিলি (Lily) ও রোমিওকে (Romeo)।

সাগরমেলায় আসা লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী স্নানের সময় কোনও বিপদে পড়লেই ত্রাতা হিসেবে কাজ করবে এই জুটি। সমুদ্রে ডুবন্ত পুণ্যার্থীদের সঠিক খোঁজ জানিয়ে দেবে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের। এনডিআরএফ কলকাতার সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর লিলি ও রোমিও। এনডিআরএফের তিনটি ব্যাটেলিয়ানের মোট ৭৫ জন কর্মী এবার সাগর মেলায় বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ করবেন। সাগরমেলা প্রাঙ্গণ, কচুবেড়িয়া ও চেমাগুড়ি পয়েন্টে মোতায়েন আছে এরা। আর এদের সঙ্গেই সমানে পাল্লা দিয়ে কাজ করবে রোমিও ও লিলি। এছাড়াও এবার রিমোট পরিচালিত লাইফ বয়া নিয়ে আসা হয়েছে ডুবন্ত পুণ্যার্থীদের উদ্ধারের জন্য।

Find out more: