আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষিকাই যদি প্রাপ্য বকেয়া না পান, তাহলে সমাজ কী বলবে?

চাকরিতে পদোন্নতি হলেও অবসরের পর মেলেনি অতিরিক্ত হারে পেনশন বা অবসরকালীন ভাতা।হুগলির শিক্ষিকা-গ্রন্থাগারিকের সুদ সহ বকেয়া পেনশন মেটানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের পাঠাগার পরিষেবা অধিকর্তাকে বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের নির্দেশ, ৬ সপ্তাহের মধ্যে ওই শিক্ষিকার প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষিকাই যদি প্রাপ্য বকেয়া না পান, তাহলে সমাজ কী বলবে?

১৯৮৪ সালে ১২ অক্টোবর থেকে হুগলি জেলার রাধারমণ সম্মিলন সমিতি নামে একটি গ্রামীণ পাঠাগারে গ্রহন্থাগারিক হিসেবে কাজে যোগ দেন শিক্ষিকা রেখা দত্ত। পরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে ১৯৯০ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি তার নিরিখে তাঁরা পদোন্নতি পেতে পারেন। সেইমতো গ্রামীণ গ্রন্থাগারিক থেকে ১৯৯৩ সালের অগাস্ট মাসে লাইব্রেরি এবং তথ্য বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে তিনি যোগ্যতার উন্নতি করেন। ফলে যোগ্যতার সমান বেতনও পেতে শুরু করেন তিনি।

কিন্তু অভিযোগ, ২০২০ সালের মার্চ মাসে অবসরের পর রেখা সমস্ত নথি জেলা পাঠাগার আধিকারিক এবং রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠান।সেখানে তাঁর আগের বেতনের হারে পেনশনের সুপারিশ করা হয়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতে তাঁর দাবি, রোপা আইন অনুযায়ী যদি কেউ যোগ্যতার নিরিখে পদোন্নতি পান তাহলে তাঁর অবসরকালীন ভাতার হারও বাড়বে।

Find out more: