বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের তরফে মনে করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথীর নির্দিষ্ট প্যাকেজের বাইরে থাকা একাধিক ওষুধ ও পরীক্ষার জন্য আগে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার টাকা। এই টাকা অত্যন্ত কম ও অবৈজ্ঞানিক। সেই হার বৃদ্ধির বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি কার্যকর হবে এবং প্যাকেজের অন্যান্য দরের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেসরকারি বড় হাসপাতাল ছাড়াও ছোট ছোট নার্সিংহোমগুলিও এই দামে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে নারাজ ছিল। সে কথা মাতায় রেখে এবার স্বাস্থ্যসাথীতে প্যাকেজের বাইরে থাকা ওষুধ ও ডায়গনস্টিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হল।
তবে সব হাসপাতালে এই পরিষেবা প্রযোজ্য নয়। রাজ্যের ৩০টি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যাদের এনএবিএইচ অর্থাৎ ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটালস অ্যান্ড হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার স্বীকৃতি রয়েছে। সেই হাসপাতালেই মিলবে পরিষেবা। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ভুয়ো বিল করে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল টাকা পেয়েছে কি না, সেদিকে নজরদারি দিতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
উল্লেখ্য, ইমারজেন্সি না হলে অর্থোপেডিক চিকিৎসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করা যাবে না। শুধুমাত্র বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজেই করতে হবে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বহরমপুর পুরসভা এলাকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে এমন মানুষদের জন্য এই নিয়ম চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এবার তার পরিধি বাড়ল। বহরমপুর সদর মহকুমা এবং মালদহ সদর মহকুমা এলাকার বাসিন্দারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করতে পারবেন। ইমারজেন্সি ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন। কিন্তু কোনও প্ল্যানড অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের সার্টিফিকেট লাগবে (যে সার্টিফিকেটে লেখা থাকবে যে, সরকারী জায়গায় এই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই) সেক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার সুযোগ নিতে পারবেন।