সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৬৩টি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে ছিল। দু’সপ্তাহ আগে এই সংখ্যাই ছিল মাত্র ১৫। চিন্তা বাড়াচ্ছে দিল্লি (Delhi), কেরল(Kerala), গুজরাত(Gujarat) এবং মহারাষ্ট্র(Maharashtra)৷ এই চার রাজ্যে সংক্রমণের হার অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে অনেকটাই বেশি রয়েছে। এরই মধ্যে পর পর দু’দিন আক্রান্তের সংখ্যা ১৮০০-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। শীঘ্রই তা ২০০০-এর ঘরে পৌঁছে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে করোনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগের সপ্তাহেই সংখ্যাটি ছিল ১৯। ফলে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও কিছুটা উদ্বেগের বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আবারও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রত্যেক বার যে ঢেউ গুলি আছড়ে পড়ে, তার পিছনে রয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপট। এবার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট(XBB.1.16 Variant) এবার করোনা গ্রাফে হঠাৎ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। INSACOG তথ্য অনুসারে, সারা দেশে কোভিড-১৯ (covid 19) এর XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্টের মোট ৬১০ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ দেশের ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাওয়া গিয়েছে। INSACOG-এর তথ্য অনুসারে, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে করোনার এই রূপের সর্বাধিক সংখ্যক নমুনা পাওয়া গিয়েছে।
নীতি আয়োগের বৈঠকে(Policy Committee Meeting) সিদ্ধান্ত সোমবার নির্দেশিকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক(Ministry of Health) জানিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে প্রস্তুত এবং সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলি এই পরিস্থিতিতে কতটা তৈরি রয়েছে তা জানতে ১০ ও ১১ এপ্রিল বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে মকড্রিল (Covid19 Mock Drill) । সেই সঙ্গে আগামী দিনে নতুন করে অতিমারির পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা, ওষুধপত্র, অক্সিজেন এবং আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে কি না, যাচাই করে দেখা হবে।