এই ধরনের কামান সহ ঐতিহাসিক সামগ্রী খনন কার্যের মাধ্যমে উদ্ধার করা হলে সুপ্রাচীন শহর কলকাতার অনেক অজানা ইতিহাস সাধারণ মানুষের সামনে আগামী দিনে উন্মোচিত হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় জানান, কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে যে সমস্ত ঐতিহাসিক সামগ্রী উদ্ধার হচ্ছে, সেগুলি সাধারণ মানুষের সামনে উন্মোচিত করার লক্ষ্যে, রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে একটি জুডিশিয়াল মিউজিয়ামের সূচনা করা হতে চলেছে। সেখানেই এই ধরনের সামগ্রী রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বহু বছর ধরে ফেয়ারলি প্লেস সংলগ্ন স্ট্র্যান্ড রোডের ফুটপাতে দেখা যেত কামানের একটি মুখ। সেটি মাটিতে গাঁথা ছিল। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল এবং অফিসিয়াল ট্রাস্টির নজরে আসে বিষয়টি। এর পরেই শুরু হয় সেই কামান তুলে আনার কাজ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেলের কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, এই খোঁড়াখুঁড়ি যেহেতু ফেয়ারলি প্লেসের রেলের ভবন লাগোয়া অঞ্চলে হচ্ছে, তাই কাজ শুরুর আগে তাঁদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কারণ, মাটিতে এমন খোঁড়াখুঁড়ির ফলে রেলের পুরনো ভবনের ভিত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই কদিন আগে কামান তোলার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন তাঁরা।