২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে সেক্রেটারি বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। এই হাইওয়েটি বেশ কয়েকটি রাজ্যের মূল শহরগুলিকে সংযুক্ত করবে। তার ফলে যাতায়াতের সময় এবং খরচ- দুটোই কমবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধিকর্তা জানিয়েছেন। আধিকারিকরা ইতিমধ্যে এই এক্সপ্রেসওয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। এর জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্তরে জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রকল্পের সবিস্তার রিপোর্ট আসেনি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যেই এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা। বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে শুরু হবে চন্দৌলি জেলার বারাণসী রিং রোড থেকে। আর তা এসে মিলবে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার কাছে জাতীয় সড়ক-১৬-র কাছে এসে। বর্তমানে বারাণসী এবং কলকাতা যাতায়াতের জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় জাতীয় সড়ক-১৯।
কলকাতা-বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ের রুটের অন্তর্গত শহরগুলির মধ্যে অন্যতম হল- মোহানিয়া, রোহতাস, সাসারাম, ঔরঙ্গাবাদ, গয়া, চাতরা, হাজারিবাগ, রাঁচি, বোকারো, ধানবাদ, রামগড়, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়া। শুধু তাই নয়, এই এক্সপ্রেসওয়েটি বিভিন্ন হাইওয়ের মাধ্যমে মূল শহরগুলির মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলবে। যার ফলে সময় তো বাঁচবেই, সেই সঙ্গে কমবে খরচও। এই কারণেই স্থলপথে দিল্লি থেকে কলকাতা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ১৭ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিল্লি থেকে সন্ধ্যায় বেরোলে পর দিন দুপুরের আগেই ঢুকে পড়া যাবে কলকাতায়। পাশাপাশি, বারাণসী থেকে কলকাতা পৌঁছনো যাবে মাত্র ১০ ঘণ্টায়। (এই প্রতিবেদনের ছবি প্রতীকী)