বুধবার সকাল থেকেই বৃষ্টিস্নাত কলকাতা। মঙ্গলবার রাতভর হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পর এদিন সকাল থেকে বৃষ্টি। রাতে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়েছে। মেঘের গুরুগুর গর্জন শোনা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অন্যান্য জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও হাল্কা কোথাও মাঝারি। রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় কলকাতায় অনেক জায়গায় জল জমেছে। সকালে নিত্যযাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তবে বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা খানিকটা নেমেছে। হাওয়া অফিসের পূর্বভাস, এদিন দিনভর মেঘলা আকাশ থাকবে। সকালের দিকে একটানা বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে। বিকেলের দিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। তাপমাত্রা একই থাকবে আগামী ২৪ ঘন্টা। বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। এদিন সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৪ থেকে ৯৭ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ২৭.২ মিলিমিটার।

দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে আজ। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। কলকাতাতেও কয়েক পশলা  মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার বিকেলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি আরও কমবে, বাড়বে তাপমাত্রার সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। এদিকে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তরবঙ্গে। আপাতত রাজ্যজুড়েই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষার বৃষ্টি চলবে। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে দুই এক পশলা ভারী বৃষ্টি হবে। এখন মৌসুমী অক্ষরেখা যোধপুর শিখর নারনাউল ও ফিরোজপুরের উপর অবস্থান করছে। আগামী দুদিনে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গুজরাত, রাজস্থানের আরও কিছু অংশে ঢুকে পড়বে। হরিয়ানা, পাঞ্জাবের বাকি অংশে ঢুকে পড়বে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ছত্তিশগড়ের উপর অবস্থান করছে।

বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। এর মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি বেশি হওয়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বাড়ছে। তা বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফের ভারী বৃষ্টি হলে নদীর জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার আশঙ্কা।

Find out more: