সবজির দাম (Vegetable Price Hike) অগ্নিমূল্য হওয়াতে মাথায় হাত পড়েছে ক্রেতাদের। বিক্রেতাদের দাবি যেহেতু এত গরম পড়েছে তাই তেমনভাবে চাষ হয়নি এবং পাইকারি দামের তুলনায় খুব অল্প লাভ রেখে তারা জিনিসপত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। দিন দিন যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চসলে যাচ্ছে সবজি দিয়ে ভাত খাওয়া। এখন বাজারে গিয়ে সবজির থেকে ১০ হাত দূরে আমআদমি। সোমবারের পর একই চিত্র ধরা পড়ল মঙ্গলবার কলকাতার বিভিন্ন বাজারে। সেঞ্চুরি করেছে উচ্ছে, বরবটি, ঢেঁড়স। প্রায় দুশোর ঘর পার করেছে টমেটো। আদার দাম ঘোরাফেরা করছে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকাতেই৷রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়৷ পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে রয়েছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকার কাছাকাছি৷ অগ্নিমূল্য বাজারে বিনসের দাম প্রতি কেজিতে ৮০ টাকা৷ উচ্ছে মিলছে ৬০ টাকায়৷ মাঝে একলাফে বেড়ে গিয়েছিল বেগুনের দাম৷ সেখান থেকে কিছুটা কমে বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকায়৷ তুলনায় কিছুটা কুমড়োর দর৷ চন্দ্রমুখী আলু কেজি প্রতি দাম পড়ছে ৩০ টাকা৷ গরমের পরিচিত সবজি লাউয়ের দামও কেজিতে ৩০ টাকা৷
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি ওপর নজর রেখে টাস্ক ফোর্স এর আধিকারিকদের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করতে বলেন। সেইমতো আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে টাস্ক ফোর্স এর সদস্যরা সল্টলেকে বেশ কয়েকটি বাজারে অভিযান চালান। প্রথমে তারা এবিএসি মার্কেটে যান তারপর বিডি মার্কেট এবং সর্বশেষে তারা সিকে মার্কেটে যান পরিদর্শন করতে। দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানতে চান শাক-সবজির কি দাম। সোমবার টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা বিক্রেতাদের জানান, কাঁচা লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা নয়, বিক্রি করতে হবে ১০০ টাকায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেলাগাম আনাজের দাম। সোমবার ১৬টি বাজার পরিদর্শন করেন টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার শিয়ালদার কোলে মার্কেটে যাবে টাস্ক ফোর্স। সব দিক খতিয়ে দেখে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে তারা।
আগুন বাজারের জন্য অন্যতম কারণ আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা৷ মনে করছেন বিক্রেতারা৷ এ বছর একটানা তীব্র গরমের পর হঠাৎ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজির চাষাবাদ৷ সবজির বিক্রেতা ও কৃষকদের ধারণা, বর্ষার বৃষ্টি নিয়মিত হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সবজির দাম কমবে৷ তবে চড়া গরম এবং অকালবর্ষণ দাম হ্রাসের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷