সোমবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। এদিন কলকাতার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ২৮.১ ডিগ্রি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৮ ডিগ্রি থেকে প্রায় ৩ ডিগ্রি বেড়ে ৩৩.২ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৩ থেকে ৮৮ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দিনের প্রথমভাগে অস্বস্তি বজায় থাকবে। আপাতত তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমবে। রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং সহ পার্বত্য এলাকায় দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায়। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে পূর্বভাসে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না।
আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুম্বই, কোঙ্কন, মধ্য মহারাষ্ট্র, গুজরাট, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশে ইয়ানাম, তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পঞ্জাব, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও বিধর্ভ এবং ওড়িশাতে। মৌসম ভবনের তরফে দেশের একাধিক রাজ্যের জন্য বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে একাধিক শহরের জন্য জারি রয়েছে লাল, কমলা সতর্কতাও। আগামী ২৬ জুলাই অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে। নতুন করে তৈরি হওয়া এই ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের মধ্যেই হিমাচল প্রদেশে হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে।
মৌসম ভবন জানচ্ছে, একটি ঘুর্নাবর্ত রয়েছে বিদর্ভ ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায়। মৌসুমী অক্ষরেখা জয়সালমীর, দিশা, রাতলাম, বেতুল, চন্দ্রপুর এবং গোপালপুরের উপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম অভিমুখে আন্দামান সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আজ নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। এর শক্তিবৃদ্ধির উপর বুধবার থেকে বঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ভর করবে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ সংলগ্ন উপকূলে নিম্নচাপ অবস্থান করছে।