টানা বৃষ্টিতে বিঘ্নিত পূজোর প্রস্তুতি, কপালে চিন্তার ভাঁজ পূজো উদ্যোক্তা থেকে ডেকোরেটারস ও মৃৎশিল্পীদের।দিনভর বৃষ্টিতে মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা তৈরী সবেতেই নাজেহাল অবস্থা জেলার গড়বেতা, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, দাসপুর প্রভৃতি এলাকা। বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যর বিভিন্ন জেলাতেও। বৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যান্য এলাকার মতো গড়বেতা, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, দাসপুরের পূজো উদ্যোক্তাদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন, এর পরেই বাঙালিদের সেরা উৎসব দূর্গা পূজোয় মাতবে গোটা রাজ্য। কিন্তু শরৎ এও বর্ষার ভ্রুকুটি দেখে চিন্তায় মৃৎশিল্পী থেকে মন্ডপসজ্জার কাজে যুক্ত ডেকোরেটার্স কর্মীরা। চন্দ্রকোনা রোড, ঘাটাল, দাসপুরেও প্রতিবছর বিগ বাজেটের থিমে মাতে সার্বজনীন দূর্গোৎসব কমিটিগুলি। মন্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা তৈরীতে এখনও পিছিয়ে শিল্পীরা। টানা বৃষ্টিতে নির্ধারিত সময়ে মন্ডপকে কি করে সাজিয়ে তোলা যাবে, কি করেই বা প্রতিমায় মাটি দিয়ে তা শুকিয়ে রং থেকে গহনা পরানোর কাজ সম্পন্ন হয়ে উদ্যোক্তাদের তুলে দেওয়া যাবে, সে নিয়েই বিস্তর চিন্তায় ডেকোরেটারস থেকে মৃৎশিল্পীরা। বাঁশের কাঠামোর কাজ সম্পন্ন করে ভিতরে সোলার, থার্মোকলের নক্সার কাজ করা গেলেও বাইরের কোনও কাজই সম্ভব হচ্ছেনা বৃষ্টি কারনে। কর্মীরা বসে থেকে সময় কাটাচ্ছে, এমনটাই জানাচ্ছেন ডেকোরেটারস কর্মীরা।অপরদিকে বেশি সমস্যায় মৃৎশিল্পীরা। তাদের কথায়, প্রতিমার প্রাথমিক কাজটাই মাটির। মাটি শুকনো হলে রং ও গহনা পরানোর কাজ হয়। কিন্তু টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মাটি শুকাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। অতিমাত্রায় হ্যালোজিন লাইট জ্বেলে কোনও রকমে প্রতিমার মাটি শুকানো চলছে। নির্ধারিত সময়ে পূজো মন্ডপে কি করে প্রতিমা ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব, তা নিয়েই চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা। আবহাওয়ার দিকেই তাকিয়ে সকলেই।


Find out more: