প্রথম টেস্টে ঠিক যে ভাবে ভারতের বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ, দ্বিতীয় টেস্ট তথা সিরিজের শেষ ম্যাচে ঠিক তার পুনরাবৃত্তি ঘটল। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১৫২ রান। এখনও ৮৯ রান লিড রয়েছে ভারতের। সেই লিড টপকে ভারতকে টার্গেট দেওয়া অলৌকিক কিছু হলে তবেই সম্ভব। আর ভারত কত তাড়াতাড়ি এই ম্যাচ শেষ করতে পারে সেটাই এখন দেখার।
That's that from Day 2 as #TeamIndia are now 4 wickets away from victory in the #PinkBallTest
— BCCI (@BCCI) November 23, 2019
A 4-wkt haul for @ImIshant in the 2nd innings.
Updates - https://t.co/kcGiVn0lZi@Paytm | #INDvBAN pic.twitter.com/kj7azmZYg0
প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হতেই ছন্দে ছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং সহ-অধিনায়ক আজিঙ্কে রাহানে। রাহানে হাফ সেঞ্চুরি করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও টেস্ট কেরিয়ারে ২৭তম সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি। অধিনায়ক হিসাবে ২০তম সেঞ্চুরি। টপকে গেলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে। অধিনায়ক হিসাবে সেঞ্চুরির হিসাবে সামনে শুধু প্রাক্তন প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ। আর এদিনের সেঞ্চুরির ফলে দেশে প্রথম পিঙ্ক বলের দিন-রাতের টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির মালিক হলেন বিরাট কোহলি। ওয়ান ডে আর টেস্ট মিলিয়ে বিরাটের সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ৭০।
The #RunMachine at it again 👏💪@imVkohli brings up his 27th Test 💯#PinkBallTest #INDvBAN pic.twitter.com/rL4wDIdKsK
— BCCI (@BCCI) November 23, 2019
বিরাট ১৩৬ রানে আউট হতে ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে যান ঋদ্ধিমান সহ বাকিরা। কিন্তু নয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন মহম্মদ শামি। একটি চার আর একটি ছয় মারার পরই ৩৪৭ রানে ইনিংস ডিক্লেয়র করেন ভারত অধিনায়ক। এরপর ব্যাট করতে নেমেই প্রথম ওভারের ইশান্ত শর্মার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তারপর ১৩ রানে চার উইকেট পড়ে যায়। তখন অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল ইডেন টেস্ট হয়তো দু’দিনেই শেষ হতে চলেছে। কিন্তু মুশফিকুর আর মাহামুদুল্লা লড়াই চালায়। রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লা। কিন্তু ৫৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর। যে কারণে তৃতীয় দিনে গড়াল ইডেন টেস্ট।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও জ্বলে ওঠে ভারতীয় পেস অ্যাটাক। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও চার উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত। আর ২ উইকেট নিয়েছেন উমেশ যাদব। বাংলাদেশকে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ করতে এখন ভারতে প্রয়োজন শুধু চার উইকেট।