ইংল্যান্ড ইনিংসের নাটকীয় প্লট পরিবর্তনের ময়না তদন্ত করতে বসলে দুটো ফ্যাক্টর বেরিয়ে আসতে পারে। এক, চেন্নাইয়ের উইকেট। দুই, আর অশ্বিন। যে Chennai-তে প্রথম ইনিংসে ৫৭৮ রানের পাহাড় গড়ল ইংল্যান্ড, সেখানেই কি না দ্বিতীয় ইনিংস ১৭৮ রানে শেষ! পিচ সতেজতা হারিয়েছে। ঘাস-টাস ছেঁটে সাফ। প্রায় ন্যাঁড়া উইকেটে ভারতীয় স্পিনারদের একেকটা ডেলিভারি ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের পিলে চমকে দিচ্ছিল যেন! কিন্তু অলৌকিক কিছু না ঘটলে ভারতের এই টেস্ট জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্টে এখন যা অবস্থা, তাতে বিরাট কোহালিদের লড়তে হবে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য। চতুর্থ দিন রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে ভারতের স্কোর ৩৯/১। ক্রিজে রয়েছেন শুভমন গিল (১৫) এবং চেতেশ্বর পূজারা (১২)।

আগের দিন ২৫৭/৬ নিয়ে শুরু করে চতুর্থ দিন কতক্ষণ লড়তে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ওয়াশিংটন সুন্দর, আপামর ক্রিকেটপ্রেমীর চোখ ছিল সে দিকেই। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দু’জনেরই ব্যাট করার অভিজ্ঞতা আগে রয়েছে। সে ভাবেই শুরু থেকে জফ্রা আর্চার, জেমস অ্যান্ডারসন, ডম বেসদের সামলে লড়ে যাচ্ছিলেন তারা। চতুর্থ দিন ৫০ রান যোগ করে ফিরলেন অশ্বিন।

প্রত্যাশামতোই এরপরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের পক্ষেও দীর্ঘক্ষণ উইকেটে টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। হয়ওনি। একদিকে সুন্দর ধরে রাখলেও অপরদিকে শাহবাজ নাদিম, ইশান্ত শর্মারা টলমল করছিলেন। শেষমেশ ৩৩৭ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ফলো-অন করে ভারতকে আরও সমস্যার মধ্যে ফেলতে পারতেন জো রুট। কিন্তু ৯৬ ওভার বল করার পর বোলারদের বিশ্রাম দিতেই তিনি সম্ভবত ফলো-অন করানোর ভাবনা থেকে সরে আসেন। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই ঝটকা দিয়েছিলেন অশ্বিন। ইনিংসের শেষ পর্যন্তও সেই তীক্ষ্ণতা বজায় রাখলেন। একমাত্র জস বাটলার-ডম বেসের জুটি ছাড়া আর কোনও জুটিকে ভাঙা নিয়েই ভাবতে হয়নি বিরাট কোহালিকে।

Find out more: