সকালে ভারত ব্যাট করতে নামার পরই দ্রুত কিছু উইকেট হারান কোহলিরা। ফিরে যান পূজারা, রোহিত, রাহানে ঋষভরা। এরপরেই হাল ধরেন কোহলি ও অশ্বিন। অক্ষর পটেল বলেন, “সকালে পরপর উইকেট হারানোর পরে ড্রেসিংরুমে একটা চিন্তার বাতাবরণ তৈরী হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে অশ্বিন ও বিরাট ব্যাট করেন তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়। বোর্ডে যথেষ্ট লিড রয়েছে, আমরা অনেক বেশী খোলা মনে বল করতে পারব।”

ভারত প্রথম ইনিংসে ৩২৯ রান করার পর ইংল্যান্ডকে ১৩৪ রানেই গুটিয়ে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ভারতের বেশ কিছু উইকেট পড়লেও কোহলি ও অশ্বিন পরিস্থিতি সামাল দেন। ৬২ রান করে অধিনায়ক আউট হলেও অশ্বিন শতরান করে দলের লিড ৪৮১ তে নিয়ে যান।

অন্যদিকে, রবিবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই এ রকম টিকা-টিপ্পনীতে ভরে উঠেছিল নেটমাধ্যমের দেওয়াল। কে নেই সেখানে, মার্ক ওয় থেকে শেন ওয়ার্ন, মাইকেল ভন থেকে ড্যামিয়েন ফ্লেমিং- প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে মতামত পেশ করেছেন। তৃতীয় দিন যেন সবাইকে চুপ করিয়ে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তথাকথিত ‘অফ-স্পিনার’ বুদ্ধিদীপ্ত শতরান করে বুঝিয়ে দিলেন, দোষ শুধু পিচের নয়, ক্রিকেটারদের টেকনিকেরও থাকে! বিদেশিদের পাশাপাশি সতীর্থদের কাছেও তাঁর ইনিংস একটা পরিচ্ছন্ন বার্তা দিল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে অশ্বিনকে পিচের অবস্থা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। অশ্বিন সাফ জানিয়েছিলেন, যে সব পিচে বাউন্স থাকে এবং বল ঘোরে, সেখানে পিচ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না কেন? কিন্তু মুখে নয়, ব্যাট হাতে প্রমাণ করা বেশি দরকার ছিল। অশ্বিন ঠিক সেটাই করলেন। ঘরের মাঠে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন।

Find out more: