নবম দল হিসেবে ক্রোড়পতি লিগ খেলার জন্য আরপিএসজি সর্বোচ্চ ৭০৯০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। সেখানে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রায় ৫২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সিভিসি ক্যাপিটাল। আরপিএসজি লখনউ ও সিভিসি ক্যাপিটাল আহমেদাবাদ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। সুতরাং, ২টি নতুন আইপিএল দল বিক্রি করে বোর্ডের আয় হল প্রায় ১২৬৯০ কোটি টাকা। এই প্রথম নয়, এর আগে দশ দলের আইপিএল হয়েছে। ২০১১ মরসুমে এখনকার আটটি দলের পাশাপাশি কোচি টাস্কার্স কেরল এবং পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়াকে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই মরসুমের শেষেই বোর্ডের নিয়ম লঙ্ঘন করায় সরে দাঁড়াতে হয় কোচিকে। ২০১৩ সালে বোর্ডের সঙ্গে আর্থিক বিবাদের জেরে সরে যায় পুনেও। তখন থেকেই আট দলের প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। এ বার থেকে ফের তা দশ দলের হতে চলেছে।

বিসিসিআইয়ের সূত্রের খবর অনুসারে, দুটি নতুন দল কেনার জন্য দেশের ৬টি শহর বাছা হয়েছিল। দরপত্র তোলার জন্য কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর আগে আইপিএল-এর বেস প্রাইস ১৭০০ কোটি টাকা থাকলেও, এ বার কিন্তু সেটা একলাফে বেড়ে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য বেছে নেওয়া হয় ৯টি দরপত্রকে। তবে খুঁটিনাটি কাজ বাকি থাকায় ঘোষণা করার সময় বারবার পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে এত টাকা দিয়ে কোনও আইপিএল দলকেই কেনা হয়নি। সোমবারের নতুন দু’টি দল আইপিএল-এ সব থেকে দামী হতে চলেছে।

Find out more: