আজ ঋদ্ধিমান সাহার রানের পাশে অপরাজিত ৬১ রান।
ঋদ্ধিমান তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে ৬ নম্বর অর্ধ-শতরান করলেন কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে। ঋদ্ধিমানের এই সংযমী লড়াই সমালোচকদের কিছুটা হলেও জবাবটা দিয়ে দিল। রবিবার ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্টের চতুর্থ দিনের আগে পর্যন্ত ঋদ্ধিমানের ভবিষ্য়ত কিন্তু ফুল বিছানো ছিল না। সমালোচনার কাঁটায় ক্রমাগত বিদ্ধ হয়েছেন বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার। তাঁর টেস্ট কেরিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন অনেকে। এই দিনের ইনিংসের আগে পর্যন্ত ঋদ্ধিমান বিগত ১৪ ইনিংসে ভারতের হয়ে ১৫৬ রান করেছেন ১৪.১৮-এর গড়ে। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ২৯। এমনকী কানপুরেও প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন মাত্র ১ রান। সমারভিলের বল ফাইন লেগে ঠেলে ২ রান নিয়ে অর্ধ-শতরান করলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। কমেন্ট্রি বক্সে তখন মাইক্রোফোন হাতে সুনীল গাভাসকর। কিংবদন্তি ভারতীয় বললেন, "ফাইন ইনিংস অফ আ ফাইন সার্ভেন্ট অফ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট।" বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় ভারতীয় ক্রিকেটের অসাধারণ সেবকের থেকে দুরন্ত ইনিংস।
আর যদি ভারতের ইনিংসের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে, চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। কিন্তু অভিষেক টেস্টে নিজের জাত চেনালেন শ্রেয়স। প্রথম ইনিংসে শতরানের পরে দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করলেন তিনি। ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে অর্ধশতরান এল ঋদ্ধির ব্যাট থেকে। চতুর্থ দিনের শুরুতে প্রথমে চেতেশ্বর পুজারার উইকেট হারায় ভারত। ২২ রান করে আউট হন তিনি। রান পাননি অধিনায়ক রহাণে। তার পরে একই ওভারে ময়াঙ্ক আগরওয়াল ও রবীন্দ্র জাডেজাকে আউট করে ভারতকে জোড়া ধাক্কা দেন টিম সাউদি। ৫১ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। দেখে মনে হচ্ছিল তাড়াতাড়ি ইনিংস শেষ হয়ে যাবে। তখনই দেখা গেল দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন শ্রেয়স। প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও তার পরে ঋদ্ধিমানের সঙ্গে অর্ধশতরানের জুটি বাঁধেন তিনি। অশ্বিন ৩২ করে আউট হন। শ্রেয়স অর্ধশতরান করার পরে ৬৫ রানের মাথায় আউট হন। তিনিই ভারতের প্রথম ব্যাটার যিনি অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে শতরান ও অন্য ইনিংসে অর্ধশতরান করলেন।