তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম টেস্টেই ১১৩ রানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেল। এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮টি টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে ২১টি টেস্টই আয়োজক দেশ জিতেছে। যে তিনটিতে তাদের হারতে হয়েছে তার মধ্যে এদিনের হারের কথাও লেখা হয়ে থাকবে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে হারিয়ে ভারত তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল। ইংল্যান্ড (২০০০) ও অস্ট্রেলিয়ার (২০১৪) পর তৃতীয় সফরকারী দেশ হিসাবে ভারত আইকনিক সেঞ্চুরিয়নে টেস্ট জিতল। ১৯৯২-৯৩ মরশুমে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের অধিনায়কত্বে প্রথমবার রামধনু দেশে গিয়েছিল ভারত। সেই তখন থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত টেস্ট সিরিজে এগিয়ে গেল। ২০০৬-০৭ মরসুমে রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত ১-০ এগিয়ে ছিল। যদিও সিরিজ হেরেছিল ভারত।
পাশাপাশি, গাব্বা, লর্ডস, ওভালের পর সেঞ্চুরিয়ন। একই বছরে বিশ্বের তিন প্রান্তে চারটি কঠিন মাঠে জিতল ভারত। কখনও দাপট দেখিয়েছেন ব্যাটাররা, আবার কখনও বোলারদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে। সেঞ্চুরিয়নে যেমন মহম্মদ শামি। দু’ইনিংস মিলিয়ে আটটি উইকেট নিয়ে মেরুদন্ড ভেঙে দিলেন প্রোটিয়া ব্যাটারদের। ম্যাচের পর তাই শামির প্রশংসায় মাতলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বলেছেন, “সত্যি বলতে, শামি বিশ্বমানের প্রতিভা, বিশ্বমানের বোলার। আমার মতে, এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা তিন জোরে বোলারের একজন ও। ওর শক্ত কবজি, সিমের অবস্থান এবং একই লেংথে ধারাবাহিক ভাবে বোলিং করে যাওয়া সত্যিই অসাধারণ। ও ২০০ উইকেট পাওয়ায় আমি খুব, খুব খুশি। গোটা ম্যাচেই ওর বোলিংয়ের প্রভাব আমরা দেখতে পেয়েছি।”