প্লে অফের রাস্তা শুধু কঠিনই ন, কঠিনতর করে তুলল কেকেআর। নক-আউটে যেতে হলে বাকি পাঁচটা ম্যাচই এখন জিততে হবে কেকেআরকে। কিন্তু নেট রান রেটের অঙ্ক সেক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকেও। ওয়াংখেড়েতে টস জিতে যে কোনও অধিনায়কই আগে বোলিং করতে চাইবেন। ঋষভ পন্থও ব্যতিক্রম নন। তিনিও টস জিতলেন এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠালেন। ওপেনিং নিয়ে সমস্যা চলছে কলকাতার। অ্যারন ফিঞ্চকে দলে ফেরত এনে সেটাই ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন শ্রেয়স আয়াররা। কিন্তু মাত্র তিন রান করে ফিরে গেলেন ফিঞ্চ। তাঁর সঙ্গী বেঙ্কটেশ আয়ার ফিরলেন ছয় রান করে। চেতন সাকারিয়া এবং অক্ষর পটেল শুরুতেই ধাক্কা দিলেন কলকাতাকে। দুই ওপেনার ফিরতে দিল্লির হয়ে বল করতে এলেন কুলদীপ যাদব। প্রাক্তন নাইটের হাতেই গত বারের ম্যাচে কলকাতার পতন হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও কোনও ব্যতিক্রম নয়। ৩ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন কুলদীপ। পর পর ফিরিয়ে দিলেন বাবা ইন্দ্রজিৎ এবং সুনীল নারাইনকে। আন্দ্রে রাসেল এবং শ্রেয়স আয়ারের উইকেটও নেন তিনিই।

এই রান সম্বল করে ম্যাচ জিততে হলে শুরুতেই আঘাত হানার দরকার ছিল কেকেআরের। উমেশ যাদব শুরুতেই তুলে নেন পৃথ্বী শ-র (০) উইকেট। মিচেল মার্শ (১৩) দ্রুত রান তুলতে গিয়ে  ফেরেন হর্ষিত রানার বলে। ডেভিড ওয়ার্নার ও ললিত যাদব লড়াই শুরু করেন দিল্লির হয়ে। বিপজ্জনক ওয়ার্নারকে (৪২) ফেরান উমেশ। নারিনের বলে এলবিডব্লিউ হন ললিত (২২)। বিপজ্জনক ঋষভ পন্থকে (২) দ্রুত ফেরান উমেশ যাদব। মারমুখী অক্ষর প্যাটেল (২৪) রান আউট হলেন।  ঠিক যখন মনে হচ্ছে দিল্লি ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, সেই সময়ে শার্দুল ঠাকুর ও রোভম্যান পাওয়েল কাজের কাজটা সেরে ফেলেন। পাওয়েল অপরাজিত থেকে যান ৩৩  রানে। শার্দুল অপরাজিত থাকেন ৮ রানে। ছয় বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।

Find out more: